স্বর্ণার্ক ঘোষ: সময়টা ৯০’র গোড়ায়। বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে আর্থিক সংস্কারের দোরগোড়ায়
দাঁড়িয়ে দেশ। ‘দরজা খুলতেই’ একরাশ জাদুকাঠি নিয়ে রুপোলি পর্দায় বাজিগরের আবির্ভাব। বন্ধ দরজার গুমোট ভাব কাটিয়ে সার্কাসের রিং মাস্টার থেকে ‘বাজিগর’ হয়ে উঠলেন। তখন বড় বড় শহরের রাজের কথায় মাতোয়ারা সিমরানেরা। তবুও কিরণকে কিছুতেই বোঝাতে
পারলেন না.. ।
১৯৯৭ সাল, তবুও যেবার স্বাধীনতা হাফ সেঞ্চুরি ছুঁলো। সেই বছরই উপত্যকার অনাথ আত্মঘাতী কাশ্মীরির দেহকে সঙ্গী করেই মৃত্যু মেনে নিলেন রেডিও সাংবাদিক আমন।
সীমান্তের গোলাবারুদের পোড়া ছাইয়ের গন্ধে যখন
ভ্যাপসা হয়ে উঠছে বাতাস। ঝড়ে পড়ছে শুকনো হলদে পাতা।
তখন কোনও স্কুলের চৌহদ্দিতে বেহালার সুরে সুরে বাজে
মৃত্যুপথযাত্রী আমনের হাসি।
তিনি অকুতোভয় বীর। সীমানা পেরিয়ে পা রেখেছেন শত্রু
দেশেও। তারপর কয়েদি নম্বর ৭৮৬ পরিচয়কেই বেছে নেন
স্কোয়াড্রন লিডার। উঠতি বয়সে প্রেম, ব্যর্থতায় ভেঙে পড়া
নয়। তখনই কেউ কানে কানে আশ্বাস দিয়েছে ম্যাঁ হু না!
‘দিল রোয়্যাকে আঁখ ভর আহি, কিসিসে আব কেয়া
কেহেনা.. ‘
বিদেশের মহাকাশ ছেড়ে স্বদেশের মাটিকেই
ভালোবেসেছেন মেজর রাম। তাই রাহুলেরা চলে গেলেও বার বার ফিরে আসে
ঠিক মোহনের রূপ ধরেই।
সম্রাট অশোকের তলোয়ারে বিচূর্ণ করেন ব্রাহ্মণ্যবাদের
দম্ভ। প্রত্যন্ত গ্রামে বইয়ের পাতা উল্টেছে দলিতেরা, ঘরে জ্বলেছে বি-জ-লি। নীরবে আঁধারে থাকা
হাজারও অ্যাসিড আক্রান্তের বুকে ফের জ্বলেছে আশার
আলো।
আজকের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের ঠুনকো সাম্প্রদায়িকতার
ঊর্ধ্বে তিনি। কিঁউ কি ডন কো পাকড় না মুশকিল হি নেহি..”।
‘গদ্দার’ অপবাদ সত্বেও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ‘কাশ্মীর-টু-
কন্যাকুমারী’কে একটাই হকিস্টিকে গেঁথেছেন।
“কিউকি
মুঝে কোই স্টেট কা নাম না শুনাই দেতা হ্যায়, না দিখাই
দেতা হ্যাঁয়.. ” তাই আজও রাত পোহানোর আগেই ল্যান্ডস
এন্ডে’র রাস্তায় প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন
হাজারও শৈশব..।
”নাম তো শুনা হি হোগা?….”
“মাই নেম ইজ.. অ্যান্ড আই এম নট.. “