শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সর্বত্রই সর্দি-কাশি ভরসা। না ঠিক ভরসা নয়! তবে সারা বছরের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সর্দি-কাশি। শীতকালে যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই থাকে। ঠিক সেরকমভাবে শীত চলে গেলেও, অত্যাধিক গরমে ঘাম বসে কাশি, সর্দি, ভাইরাল ফিভারের মতো সমস্যা দেখা যায়।
সব বয়সের মানুষদের মধ্যেই এই রোগ যেন খুব সহজেই বাসা বাঁধছে। গরমে একবার এসির হাওয়া আর একবার বাইরের প্রচন্ড রৌদ্রের দাপদাহ, এইসব মিলিয়ে প্রচণ্ড ভাবে কফ বসে যাচ্ছে। যার ফলে কাশি তো হচ্ছেই, এর সাথে সাথে থাকছে গা-হাত-পা ব্যথা, মাথা ধরার মতন প্রবণতা।
যাদের হাঁপানির সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে কাশি যেন নিত্য সঙ্গী। একটু বাড়াবাড়ি হলেই তা চেপে ধরে। এছাড়া বুকে কফ বসলে তাতেও কাশির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। সেক্ষেত্রে গলা চিরে যায়, ক্লান্তি আসে। অনেকেই কাশির মত সমস্যা দূর করার জন্য কফ সিরাপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে কিন্তু ডাক্তারদের মতে এই কফ সিরাপেরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাছাড়া অত্যাধিক কফ সিরাপ খেলে সারাদিন যেমনি যেন ঝিমুনি কিছুতেই কাটেনা।
তবে আপনাকে এই দীর্ঘ কাশির সমস্যার সমাধান দিতে পারে একমাত্র বাসক পাতা। এই পাতার যে কি জোড়ালো গুণ রয়েছে, তা অনেকেই জানেন না। ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্টের মতন রোগীরা সারা বছর যদি বাসক পাতার রস খায়, তারা ফল পাবে হাতেনাতে। এছাড়া সর্দি, কাশি, সাইনাসের মতন সমস্যায় বাসক পাতার ভীষণভাবে কাজে দেয়। সকালবেলা খালি পেটে বাসক পাতা খাওয়া সবথেকে ভালো ।
বাসক পাতা ফুটিয়ে, জল ছেঁকে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেকেরই এই পাতা অত্যাধিক তেতো লাগে। এক্ষেত্রে বাসক পাতা ও তুলসী পাতা একসাথে ফুটিয়ে নিয়ে, তাতে আখের গুড় বা মধু মিশিয়ে খেলে খুব ভালো ফল দেবে।