প্রাকৃতিক যৌনতার লক্ষ্যে জঙ্গলে ‘তালা’ বন দফতরের

ডুয়ার্সের ঘন সবুজ অরণ্য, বুনো গন্ডার, হাতি, বাইসনের দল কিংবা ময়ূরের নৃত্য দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন জঙ্গল…

Iran-Israel War Casts Shadow on Dooars Tea Industry; Orthodox Tea Exports Worth ₹150 Crore Stalled

ডুয়ার্সের ঘন সবুজ অরণ্য, বুনো গন্ডার, হাতি, বাইসনের দল কিংবা ময়ূরের নৃত্য দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন জঙ্গল অঞ্চলে। কিন্তু, এবার সেই আনন্দে সাময়িক ছেদ পড়তে চলেছে।

Advertisements

Read Hindi: प्राकृतिक प्रजनन काल में बाधा न पड़े, इसलिए डुआर्स के जंगलों में तीन महीने के लिए ताला!

বিজ্ঞাপন

আগামী ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য বন দফতর বন্ধ ঘোষণা করেছে ডুয়ার্সের সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল (Dooars National Parks)। এর মধ্যে রয়েছে গরুমারা, নেওরাভ্যালি, চাপরামারি, জলদাপাড়া, বক্সা, ও আরও বেশ কিছু বনাঞ্চল।

প্রতি বছর এই তিন মাস সময়কালকে বন্যপ্রাণীদের প্রজননকাল হিসেবে ধরা হয়। এই সময় প্রাকৃতিকভাবে বন্যপ্রাণীরা নিজেদের জৈবিক চক্রে ব্যস্ত থাকে। মানুষ ও যান্ত্রিক আওয়াজে ব্যাঘাত ঘটলে তাদের স্বাভাবিক প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। সেই কারণেই পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় এই সময়ে।

বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সময় জিপ সাফারি, হাতির পিঠে জঙ্গলে ভ্রমণ, বনবাংলোয় রাত কাটানো—সব ধরনের পর্যটন কার্যকলাপ বন্ধ থাকবে। বর্ষাকালীন সময়ে রাস্তাঘাটও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে, সেই দিকটিও বিবেচনা করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তে কিছুটা অসন্তুষ্ট পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ী মহল। স্থানীয় হোটেল, গাইড, গাড়িচালক, বনবাংলো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তবে কিছুটা সান্ত্বনার খবর, জলপাইগুড়ি বন বিভাগ রাজ্য বন দফতরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে জঙ্গলের বাইরে অবস্থিত কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার ও ক্যাম্প যেমন—ধূপঝোরা, পানঝোরা, কালিকাপুর, হর্নবিল ক্যাম্প, চুকচুকি ইত্যাদি খোলা রাখা যায়।

পরিস্থিতি ও অনুমতির ওপর নির্ভর করে আগামী দিনে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। তবে আপাতত আগামী তিন মাস ডুয়ার্সের প্রকৃতি থাকবে পর্যটকশূন্য—শুধু বন্যপ্রাণীদের নিজের মতো করে বেঁচে থাকার জন্য।

১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খুলে দেওয়া হবে সব কিছু, জঙ্গল ফিরে পাবে তার কোলাহলময় চেহারা।