Benefits to Keep a Diary: ডায়েরি লেখেন? জানুন ডায়েরি লেখার উপকারিতার কথা

কম বেশী ডায়েরি (Diary) লিখতে সকলেই ভালোবাসেন। “ডায়েরি অফ আ উইম্পি কিড” পড়ে ডায়েরি লেখার শখ হয়নি এমন হয়তো খুব কম মানুষই আছে! ডায়েরি লেখার…

Benefits to Keep a Diary

কম বেশী ডায়েরি (Diary) লিখতে সকলেই ভালোবাসেন। “ডায়েরি অফ আ উইম্পি কিড” পড়ে ডায়েরি লেখার শখ হয়নি এমন হয়তো খুব কম মানুষই আছে! ডায়েরি লেখার অভ্যাস ভাষাগত চর্চা বাড়ায়, অনেকটা থেরাপির মত কাজ করে। জীবনে অনেক কথাই বলা হয়ে ওঠে না। আবার কিছু কিছু কথা কাউকে না বলেও থাকা যায় না। কিন্তু সবাইকে কি আর ভরসা করে সব বলা যায়? আপনার সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ব্যক্তি আপনি নিজেই! ডায়েরি লেখা মানে নিজের কাছে নিজের স্বীকারোক্তি, নিজের সাথে নিজে কথা বলা।

আসুন জেনে নিই ডায়েরি লেখার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

1) মানসিক চাপ কমে : মানসিক চাপ তাই অনেকাংশেই কমে যায় নিয়মিত ডায়েরি লিখলে । মনের চাপা উদ্বেগ, নিজের জন্য লিখে ফেলা কথাগুলোর মধ্যে দিয়েই ডায়েরির পাতায় বন্দি হয়ে থাকে।ডায়েরি হতে পারে আপনার সেই বন্ধু যাকে আপনি আপনার মনের কথা খুলতে বলতে পারেন।

2) স্মরণশক্তি বাড়ে : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে, আমরা তত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছি। কিন্তু, আমাদের মনে রাখার অভ্যাসটি চলে যাচ্ছে। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে জরুরি বিষয়গুলো খুব ভালো মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় যেমন পড়ার পর লিখলে তা সহজেই মনে থাকত, ঠিক একই ব্যাপার ঘটে ডায়েরি লিখলেও। এতে সারাদিনের বিশেষ ঘটনাবলি মস্তিষ্ক মনে রাখে এবং ধীরে ধীরে স্মরণশক্তি বাড়তে থাকে।

3) হাতের লেখা ভালো হয় : অনেকেরই হাতের লেখা ভীষণ সুন্দর থাকে। কিন্তু হাতে লেখার অভ্যাস ধীরে ধীরে কমে গেলে হাতের লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত ডায়েরি লিখলে কাগজে-কলমে লেখার অভ্যাস বজায় থাকে এবং হাতের লেখা ভালো হয়।

4) আত্মশুদ্ধির সুযোগ থাকে : নিয়মিত ডায়েরি লেখা মানে নিজেকে আত্মশুদ্ধির সুযোগ দেওয়া। নিজের ইতিবাচক, নেতিবাচক দিকগুলো, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি জানা, নিজেকে বোঝা, নিজের আত্মশুদ্ধিতে আপনার লেখা পুরনো ডায়েরিগুলো অনেক সহায়তা করবে।

5) জীবন সুসংগঠিত হয় : নিজের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ এবং তার ফলাফল যদি ডায়েরিতে লেখা থাকে, তাহলে পরবর্তী কাজগুলোতে ভুলত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। জীবন হয়ে ওঠে সুসংগঠিত।