রোজকার ব্যস্ত সময়ে ঘরের ও রান্নার টুকিটাকি কিছু টিপস

রোজকার ব্যস্ত সময়ে যদি ঘরের ও রান্নার টুকিটাকি কিছু টিপস জানা থাকে তাহলে দৈনন্দিন জীবন অনেক সহজ হয়ে ওঠে: ১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুঁড়ো…

woman cooking kitchen রোজকার ব্যস্ত সময়ে ঘরের ও রান্নার টুকিটাকি কিছু টিপস

রোজকার ব্যস্ত সময়ে যদি ঘরের ও রান্নার টুকিটাকি কিছু টিপস জানা থাকে তাহলে দৈনন্দিন জীবন অনেক সহজ হয়ে ওঠে:

১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুঁড়ো সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে নিন। এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।

   

২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।

৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোনও দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধ বালতি জলে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।

৪। বলপেনে কালির দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাঁচা লঙ্কার রস দাগ লেগে থাকা জায়গায় ঘষে কাপড়টি শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ উঠে যাবে।

৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ জলে ১ চা চামচ সরষের তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে তাকের উপর ঘষে তাকগুলো পরিষ্কার করে নিন। নতুনের মতো চকচক করবে।

৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোল্ড ড্রিংক ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর বেসিনটি মুছুন। নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।

৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।

৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দাগ চলে যাবে।

৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার জলে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।

১০। ঘরের মেঝে বা যেকোনও মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য জলে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই জল দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।

১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা জলে গুলে রাতে মার্বেলে লাগিয়ে রাখুন। সকালে জলে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।

১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যে কোনও গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা গ্যাসে গরম করতে বসান। শুকনো না হওয়া অবধি জ্বাল দিন।

১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।

১৪। বাসন-কোসনে কোনও কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যায়।

১৫। চিনামাটির পাত্রে দাগ পড়লে নুন জল দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

১৬। নারকেল ভাঙ্গার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু’ভাগে ভেঙে যাবে।

১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন।

১৮। পাটালী বা গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।

১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।

২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।

২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন।

২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেওয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পর রঙ ঠিক থাকে।

২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য নুন দিয়ে দিলে আর তেল ছিটবেনা।

২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।

২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।

২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো বাদাম ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।

৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়; তবে তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়। তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।

৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।