Mobile addiction: ফোনে আসক্ত শিশু! জেনে নিন মুক্তির উপায়

শিশুদের ফোন আসক্তি(mobile addiction) থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। সব সময় মোবাইল ব্যবহার করা একটি বদ অভ্যাস। কিছু টিপস কাজে আসে। আজকাল শিশুরা পরে হাঁটতে শেখে…

শিশুদের ফোন আসক্তি(mobile addiction) থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। সব সময় মোবাইল ব্যবহার করা একটি বদ অভ্যাস। কিছু টিপস কাজে আসে। আজকাল শিশুরা পরে হাঁটতে শেখে এবং আগে ফোন ব্যবহার করে। শিশুরাও অল্প বয়সে খুব ভালো শিখে যায় কিভাবে ফোনে গান বাজতে হয়, কিভাবে ভিডিও রাখতে হয় বা কোথায় মানুষের নাচ-গানের রিল দেখতে হয়।

প্রথমে মনে হয়, বাহ, আমাদের শিশু এই অল্প বয়সেই প্রযুক্তিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, কিন্তু অসুবিধা তখন শুরু হয় যখন শিশুটি সারাক্ষণ মোবাইলের সাথে লেগে থাকতে চায় এবং কখন তাকে মোবাইল বন্ধ করতে বললে বা তার কাছ থেকে কেড়ে নিলে তারপর সে কাঁদতে থাকে। আপনার বাড়ির অবস্থাও একই এবং আপনার সন্তানেরও মোবাইল আসক্তি হয়েছে, তাহলে এখানে দেওয়া কিছু টিপস আপনার জন্য খুব কার্যকর হতে পারে। তাদের সাহায্যে, আপনি শিশুর এই খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন।

কিভাবে শিশুর মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

১.বাচ্চাদের চিত্তবিনোদনের জন্য ফোনটি কিছুক্ষণ ধরে রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে আজকাল শিশুদের স্কুলের কাজেও ফোন ব্যবহার করতে হয়। এমতাবস্থায় তাদের ফোন থেকে পুরোপুরি দূরে রাখা যাবে না। তাই শিশুদের জন্য স্ক্রিন টাইম সীমিত করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের কাছে ফোনটি কিছুক্ষণ ধরে রাখুন এবং তারপরে তাদের ফোন ব্যবহার করতে দেবেন না। এতে তাদের সারাক্ষণ ফোনে থাকার অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাবে। বিশেষ করে ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ১ ঘন্টার বেশি স্ক্রীন টাইম করা উচিত নয়।

২.আমরা যখন বাড়িতে ফোন ব্যবহার করি, তখন স্পষ্টতই আমরা দেখি না যে ফোন কোথায় ব্যবহার করব এবং কীভাবে করব না। ঘরের যে কোন কোণে ফোন নিয়ে বসে থাকি। তবে, বাচ্চাদের এই জিনিসে অভ্যস্ত করাবেন না। ডাইনিং টেবিলে, পড়ার টেবিলে বা বিছানায় মোবাইল ব্যবহার করতে দেবেন না। এ কারণে সারাক্ষণ মোবাইলে থাকার বদ অভ্যাস তাদের।

৩.আপনি যদি বাচ্চার হাতে একবার ফোন ধরেন সে যদি জেদ করে, তাহলে প্রতিবারই তার মন খারাপ হয়ে গেলে ফোনটা ধরবে। এতে শুধু ফোন আসক্তিই বাড়বে না, তার রাগ ও জেদি হওয়ার অভ্যাসও বাড়তে শুরু করবে।

৪.প্রতিদিন মোবাইলে থাকা যে জরুরী তা নয়। দু-এক দিনের জন্য মোবাইল থেকে বিরতিও নেওয়া যেতে পারে। এটি শিশুদের মধ্যেও ধৈর্য নিয়ে আসবে। আপনি তাদের এই সময়ে খেলতে বা অন্য কোনও কার্যকলাপে নিযুক্ত হতে উৎসাহিত করতে পারেন।

৫.এটা বলতে অনেক কিছু মনে হতে পারে, কিন্তু সত্য হল যে শিশুরা তাদের বাবা-মাকে যা করতে দেখে তাই শিখে। আপনি যদি নিজেকে সারাক্ষণ মোবাইলে নিযুক্ত রাখেন, প্রতিটি নোটিফিকেশনে মোবাইল (ফোন) চেক করতে থাকেন, একে অপরের ছবি এবং ভিডিও তুলতে থাকেন তবে শিশুরা এই জিনিসগুলি শিখবে। সেজন্য মোবাইল থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করাও জরুরি।