Healthy Food: খাবারের সাথে দই খেলে আপনার খাবারের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। আমরা সকলেই জানি দইয়ে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দই নিয়ে অনেক মিথ আছে। যেমন কেউ কেউ মনে করেন দই খেলে গলা ব্যাথা হয় বা সেই দই রাতে ও শীতে খাওয়া উচিত নয়। জেনে নিন দই সংক্রান্ত কিছু উপকারী জিনিস।
দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয় আপনার খাবারের স্বাদও বাড়ায়। রাইতা, বাটার মিল্ক, লস্যি, মিষ্টি দই বা সাধারণ দই এর মতো অনেক রকমের খাবারের সাথে লোকেরা এটি গ্রহণ করে। দইয়ের পুষ্টিগুণ ভালো থাকা সত্ত্বেও অনেকেই দই খেতে ভয় পান। বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতে বা রাতে দই খেলে কোনো ক্ষতি নেই। এটি প্রোবায়োটিক। এতে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার কারণে ঠান্ডা লাগা সম্ভব হয় না।
অবশ্যই হতে পারে যে দই থেকে অ্যালার্জি থাকলে আপনার গলায় সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের অ্যালার্জি অন্য কিছু খাবারের কারণেও হতে পারে, তাই আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে কোন জিনিসে আপনার অ্যালার্জি আছে। ঠান্ডা লাগায় দইয়ের কোনো ভূমিকা নেই।
আয়ুর্বেদ কি বলে?
আয়ুর্বেদে বলা আছে যে আপনি দই খেলে তাতে কালো মরিচ, চিনি বা ভাজা জিরা যোগ করুন।
দইতে লবণ যোগ করলে ক্ষতি হয়?
লবণ মেশানো দই খাওয়া ক্ষতিকর, এই ঘটনাটিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক রিলে। চিকিত্সকদের মতে, দইয়ে লবণ যোগ করলে এর স্বাদ বাড়ে। এতে কোনো ক্ষতি নেই, যদিও উপকারিতা কমে যায়। দইয়ে ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এগুলো আমাদের পাকস্থলী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভালো। আপনি যখন এতে চিনি বা লবণ যোগ করেন, তখন তাদের ধ্বংসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি যদি প্রোবায়োটিক সুবিধার জন্য খাচ্ছেন তবে কোনও কিছু না মিশিয়ে দই খাওয়া ভাল।
দ্রষ্টব্য: দই বানানোর পর বেশিক্ষণ রাখবেন না। সব সময় তাজা দই খান। দই বানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খান।