প্রত্যেকেরই সুস্থ এবং নরম চুল (Healthy Hair) থাকার আকাঙ্ক্ষা থাকে। যদিও আমরা ব্যয়বহুল সৌন্দর্য পণ্য এবং পরিপূরকগুলি অবলম্বন করতে পারি, আমরা আমাদের বাড়িতে একটি সহজ প্রতিকার ব্যবহার করতে পারি যেমন অ্যালোভেরা (Aloe Vera)। অ্যালোভেরার বিভিন্ন অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ক্যান্সার, এন্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ রয়েছে।
আমাদের চুলের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা –
১। চুল মেরামত এবং চুলের বৃদ্ধি প্রচার করে
অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই যা কোষের টার্নওভার এবং চুল মেরামতের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, আমাদের মাথার ত্বকে অ্যালোভেরার নিয়মিত প্রয়োগ রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। এটি দ্রুত চুল বৃদ্ধি এবং চুল মেরামতের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
২। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে-
খুশকি মাথার ত্বকে প্রদাহ এবং চুলকানিও সৃষ্টি করে। ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যালোভেরা তার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য এবং এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে খুশকি থেকে মুক্তি দিতে পারে। অ্যালোভেরার মাথার ত্বকে শান্ত এবং শীতল প্রভাব রয়েছে।
৩। অ্যালোভেরা কি তৈলাক্ত চুলের জন্য কার্যকর হতে পারে ?
অ্যালোভেরা আমাদের চুলের ফলিকলের চারপাশে উপস্থিত একটি তৈলাক্ত পদার্থ সেবাম কমায়। এটি তৈলাক্ত চুল থেকে আরাম পেতে এবং লোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৪। অ্যালোভেরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?
অ্যালোভেরা স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করার সময় জ্বলন্ত এবং দংশন সংবেদন সৃষ্টি করতে পারে। মৌখিকভাবে গ্রহণ করলে এটি পেটে বাধা এবং ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। মাঝে মাঝে, এটি কিছু ব্যক্তির মধ্যে এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালোভেরার অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের এর ব্যবহার এড়ানো উচিত।
৫। গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করা কি নিরাপদ ?
গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় না কারণ এটি জরায়ুর সংকোচনকে উদ্দীপিত করতে পারে।