চলতি বছরের হোলিকা দহন হবে ১৩ মার্চে, তার পরের দিন হোলি। হোলির উৎসব সাধারণত সুখ, শান্তি, এবং পরিবারে অগাধ ভালোবাসা আনার জন্য পরিচিত। তবে অনেকেই ভাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী কিছু রীতিনীতি পালন করে হোলিকা দহন আগে, যাতে নেগেটিভ শক্তি দূর হয়ে ঘরে আর্থিক সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য আসে।
বিশ্বাস অনুসারে কিছু নির্দিষ্ট জিনিস হোলির আগে ঘরে আনা হলে তা রোগবালাই, আর্থিক দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। এইসব রীতিনীতির মাধ্যমে বলা হয় যে ঘরে সুপ্রসন্নতা, সৌভাগ্য এবং দাইবিক আশীর্বাদ আসবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যা হোলির আগে আপনার ঘরে আনলে আর্থিক সমৃদ্ধি এবং শুভতার প্রবাহ হবে।
১. রূপার মুদ্রা –
ফাল্গুন পূর্ণিমার দিন, যা হোলিকা দহনের দিন, রূপার মুদ্রা বা রূপার হাতি মূর্তি ঘরে আনা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। এই দিন রূপার মুদ্রা পুজো করে এবং তাকে লাল কাপড়ে মুড়ে সেফ বা আলমারিতে রাখা হয়, যা প্রচুর ধন ও লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আনে। এই উপলক্ষে অনেকেই রূপার আংটি, চূড়ি কিনতে পছন্দ করেন।
২. বন্ধনওয়ার –
ভাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, ঘরের প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি বন্ধনওয়ার ঝুলানো নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সহায়তা করে। হোলির আগে একটি সুসজ্জিত টোরণ ঘরে লাগালে শুভ শক্তির প্রবাহ বাড়ে এবং ঘরে সুখ শান্তি আসে। এই টোরণ সাধারণত তাজা ফুল বা অশোক পাতায় তৈরি হয়।
৩. লাকি বাম্বু গাছ –
ভাস্তু শাস্ত্রের মতে, বাম্বু গাছ অর্থাৎ লাকি বাম্বু গাছ সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। হোলির আগে এই গাছটি ঘরে অথবা অফিসে আনা হলে তা শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সাফল্য আনে। এটি ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং মনকে প্রশান্ত করে।
৪. কচ্ছপ মূর্তি –
ধাতুর তৈরি কচ্ছপ মূর্তির বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি দাইবিক আশীর্বাদ এবং আর্থিক সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। হোলির দিন কচ্ছপ মূর্তি ঘরে রাখা হলে তা লক্ষ্মী দেবীর কৃপা লাভে সহায়তা করে। তবে বিশেষ উপকারের জন্য কচ্ছপ মূর্তির সাথে শ্রীযন্ত্র বা কুবের যন্ত্র খোদিত থাকতে হবে।
৫. হোলিকা দহন ছাই –
হোলিকা দহন আগুনের ছাইও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পরবর্তী দিন হোলিকা দহন থেকে ছাই সংগ্রহ করে একটি লাল কাপড়ে মুড়ে সেফ বা আলমারিতে রাখা হয়, যা আর্থিক সংকট দূর করে এবং সমৃদ্ধি আনে। এই প্রাচীন রীতি অনুসরণ করলে জীবনে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালো সময় আসবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
হোলির উৎসব শুধুমাত্র রঙে মেতে ওঠার দিন নয়, বরং এটি সুপ্রসন্নতা ও সমৃদ্ধির প্রার্থনা করারও একটি সুযোগ। যদি আপনি এই বছর হোলির আগে উপরের পণ্যগুলি ঘরে আনেন এবং নিয়মিত পুজো করেন,
তবে এতে আপনার জীবন থেকে সব ধরনের বাধা দূর হয়ে যাবে এবং আর্থিক উন্নতি হবে।
এছাড়া ভাস্তু শাস্ত্র অনুসারে হোলি একটি অত্যন্ত শুভ সময়, তাই এই দিনে যে সব রীতিনীতি পালন করা হয় তা আপনার জীবনে সুখ, শান্তি এবং সুখবর নিয়ে আসবে।