কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ (India Pakistan Match) ঘিরে দেশ জুড়ে বয়কটের ডাক। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ এবং প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি দেশদ্রোহী দল। পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা আমাদের ২৬ জন নির্দোষ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবুও বিজেপি পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ম্যাচে কোনো বিরোধ করেনি।
তিনি বলেন অমিত শাহের ছেলে আইসিসির প্রধান, এবং অর্থ উপার্জনের জন্য তারা এই খেলা খেলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমরা পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য আলোচনা করব না বা কোনো সম্পর্ক রাখব না – তাহলে কেন ক্রিকেট খেলব? এই ঘটনা প্রমান করে বিজেপি একটি বিশ্বাসঘাতক দল।
” এই বক্তব্যে আজাদ বিজেপির জাতীয়তাবাদী দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন এবং ক্রিকেটকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনা ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে।কীর্তি আজাদ, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য।
তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন যে পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় অপারেশন সিঁদুর চালু হয়েছে, এবং এখনও অভিযান চলছে। তবুও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা আজাদের মতে জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে।
তিনি জয় শাহকে লক্ষ্য করে বলেন, “আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহের যোগ্যতা কী? তিনি কেবল অমিত শাহের ছেলে, এবং এই পদে তার নেপোটিজমের ফল। কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই, কোনো দক্ষতা নেই।” পাকিস্তানের সাথে খেলার সিদ্ধান্ত আইসিসির নেয়, কিন্তু আজাদ বলেন যে বিজেপির প্রভাব এতে কাজ করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছেন, কিন্তু ক্রিকেট মাঠে তাদের সাথে খেলা হচ্ছে অর্থের লোভে।
Chennaiyin FC: আয়ারল্যান্ডের এই মিডফিল্ডারকে দলে টানতে মরিয়া চেন্নাইয়িন
কীর্তি আজাদ বলেন নরেন্দ্র মোদী সব জায়গায় গিয়ে শুধু অপারেশন সিঁদুরের কথা বলেন এবং মানুষের সহানুভূতি চান। মোদী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন জল এবং রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। কিন্তু উদ্দীপনায় ভরা ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তার মুখে কোনো কথা নেই। যেহেতু ভারত পাকিস্তান খেলায় প্রচুর টাকা রোজগার হয় তাই এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন মোদী। এমনটাই দাবি করেছেন কীর্তি।