আইনি জট এড়াতে OMR ছাড়াই তালিকা! কীভাবে সম্ভব? উঠছে প্রশ্নের ঝড়

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বহুদিনের জটিলতা (Sacked Teacher) ও বিতর্কের মাঝে আজ, ২১ এপ্রিল, প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এসএসসি-র যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের (Sacked Teacher) তালিকা।…

Without OMR Sheets, How Transparent Is the SSC List? Experts Raise Concerns

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বহুদিনের জটিলতা (Sacked Teacher) ও বিতর্কের মাঝে আজ, ২১ এপ্রিল, প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এসএসসি-র যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের (Sacked Teacher) তালিকা। তবে তালিকা প্রকাশ হলেও, ওএমআর শিট প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন। প্রার্থীরা, শিক্ষাব্যবস্থা, এমনকি প্রশাসনিক মহলেও আলোড়ন তৈরি করেছে এই অনিশ্চয়তা।

ওএমআর না প্রকাশের কারণ কী?

গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২১ এপ্রিল তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি এবং সেই সঙ্গে প্রায় ২২ লক্ষ ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পরই এসএসসি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

   

তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে ওএমআর (Sacked Teacher) প্রকাশের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে আইনি জটিলতা। এসএসসি এখন আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে কীভাবে তালিকা প্রকাশ করলে আদালতীয় বাধা এড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে একাধিক দফায়। এসএসসি সূত্রের খবর, একেবারে লিখিতভাবে মতামত না পাওয়া পর্যন্ত তারা তালিকা প্রকাশে যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের শেষ শুনানিতে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ওএমআর শিট প্রকাশের পক্ষে সওয়াল করলেও প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কোনও সুস্পষ্ট মন্তব্য করেননি—না ইতিবাচক, না নেতিবাচক। সেই ‘নীরবতা’-কে নিজের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছে এসএসসি।

তালিকা প্রকাশে কী থাকবে?

জানা যাচ্ছে, তালিকায় পৃথকভাবে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের (Sacked Teacher) নাম প্রকাশ করা হবে না। এসএসসি ও আইনজীবীদের মত অনুযায়ী, তালিকায় ‘ব্যাকরণ মেনে’ দুই শ্রেণীকে আলাদা করে দেখানো সম্ভব নয়। বিকাশ ভবন ইতিমধ্যেই জেলা ভিত্তিক তালিকা চেয়েছে, যাতে ডিআই ও স্কুল পরিদর্শকদের সাহায্যে প্রয়োজনে চিহ্নিত করা যায় চাকরিহারদের(Sacked Teacher) ।

এসএসসি চাইছে, তালিকায় এমন কিছু তথ্য দেওয়া হোক যা আদালতের দৃষ্টিতে আইনি সমস্যার জন্ম না দেয়। তাই হয়তো তালিকার ধরনে থাকবে কিছু অস্পষ্টতা বা অসাধারণতা, যা সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বিভ্রান্তির কারণও হয়ে উঠতে পারে।

Advertisements

তাহলে কি সমস্যার সমাধান?

বিশেষজ্ঞদের মতে, তালিকা প্রকাশ হলেও সমস্যার আসল সমাধান মিলবে না। কারণ, অযোগ্যদের তালিকা ইতিপূর্বেও আদালতে পেশ করেছে এসএসসি, কিন্তু তাতে জট কাটেনি। বরং আরও কিছু নতুন প্রশ্ন ও আপত্তি উঠেছিল।

বিভিন্ন আন্দোলনকারী সংগঠনও চাইছে, তালিকায় যেন স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে—কারা অযোগ্য, কেন অযোগ্য। ওএমআর প্রকাশ না হলে সেই স্বচ্ছতা আসবে না বলেই তাঁদের আশঙ্কা। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, “যদি তালিকা নিয়েই আবার আদালতে যেতে হয়, তাহলে এত আয়োজনের কী দরকার ছিল?”

এসএসসি-র (Sacked Teacher) তালিকা আজ বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু ওএমআর না থাকলে, এই তালিকা নিয়ে আবার শুরু হবে প্রশ্ন, বিতর্ক ও আইনি লড়াই। চাকরিহারদের (Sacked Teacher) জীবন ও ভবিষ্যৎ জড়িত এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, ন্যায় এবং আইনি সুরক্ষা সবচেয়ে জরুরি। প্রশাসন ও আদালতের উচিত, এমন এক সমাধানের পথে এগোনো যা সমস্যার শিকড় ছুঁয়ে তাকে সমাধান করতে পারে—মুখে হাসি ফোটাতে পারে হাজারো চাকরি প্রত্যাশীর।