আগামী ১৮ জুলাই, শুক্রবার, দুর্গাপুরে জনসভা (Dilip Ghosh) করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই মোদীর এই সফর রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে এই সভার চেয়েও বেশি চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ, ‘দিল্লি ফেরত’ দিলীপ ঘোষ। প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই এখন জোর গুঞ্জন চলছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।(Dilip Ghosh)
দিলীপকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন
লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। (Dilip Ghosh) সেখানেই প্রধানমন্ত্রী প্রচারে এসে তাঁকে “বড় মাপের নেতা” বলেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। গত ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে (Dilip Ghosh) পড়েন দিলীপ, তাও আবার সস্ত্রীক। সেই ছবি ভাইরাল হতেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয় চরম ক্ষোভ। অনেকেই প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন দিলীপের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি বলেই খবর।(Dilip Ghosh)
সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা
তবে রাজ্য বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের(Dilip Ghosh) নেতৃত্বে ফের কিছুটা মেঘ কাটতে শুরু করেছে। যদিও সায়েন্স সিটিতে শমীকের সংবর্ধনা সভায় দিলীপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবুও তিনি বিজেপি দপ্তরে গিয়ে শমীককে স্বাগত জানিয়ে আসেন। সেখানেই তিনি বলেন, “শমীকের নেতৃত্বে তৃণমূল-বিরোধী লড়াইয়ে আমি প্রস্তুত।” এই বার্তার একদিন পরেই দিল্লি থেকে ডাক পান দিলীপ ঘোষ।(Dilip Ghosh)
দিল্লিতে গিয়ে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশসহ একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সফরই হয়তো দিলীপের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আর সেই কারণেই ১৮ জুলাইয়ের দুর্গাপুর সভাকে ঘিরে তাকে ঘিরে এত উত্তেজনা।(Dilip Ghosh)
মোদীর সভায় থাকবেন কি দিলীপ?
বঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, “দিলীপ ঘোষকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাকা হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর। দিল্লি গিয়ে যদি দিলীপ কিছু ম্যানেজ(Dilip Ghosh) করে আসেন, তাহলে তাঁকে নিশ্চয়ই ডাকা হবে।” যদিও বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘনিষ্ঠদের মুখে কুলুপ, একইভাবে রাজ্য নেতৃত্বও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না।
সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য চাইছেন (Dilip Ghosh) এই সভায় রাজ্য বিজেপির সব শীর্ষ নেতাই উপস্থিত থাকুন। এতে বিজেপির ভেতরের ঐক্যের বার্তা দেওয়া যাবে বলেই তাঁর মত। সেই কারণে দিলীপ ঘোষও মঞ্চে থাকতে পারেন বলে দলের অন্দরেই আলোচনা চলছে।(Dilip Ghosh)
তৃণমূলের সভার আগে মোদীর সভা
তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সভার মাত্র তিন দিন আগেই মোদীর এই সভা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কোন বার্তা দেন এবং রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে কেমন সমন্বয় দেখা যায়, তা নজর রাখার মতো বিষয়। দিলীপ ঘোষ মঞ্চে থাকলে তা একদিকে বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন মেটানোর বার্তা দেবে, আবার অন্যদিকে তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইঙ্গিতও বয়ে আনবে।(Dilip Ghosh)