‘বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই’ লিখে দলেরই নেতাদের চরম বিড়ম্বনায় ফেলেছেন বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি দিল্লি পুলিশকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বিতর্কে সমর্থন করে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকে বঙ্গ বিজেপি ট্রোলের শিকার। বিজেপি বাঙালি বিরোধী বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার তীব্র। এই বিতর্কে এবার দলীয় দফতর!
বাম আমলে রাজ্য বিজেপি দফতরের নাম ও ঠিকানা গুটিকয়েক জানতেন, তৃণমূল জমানায় সেই দফতর প্রধান বিরোধী দলের। সেই সুবাদে কলকাতার ৬-মুরলীধর সেন লেনের পুরনো বাড়িটি চর্চায় থাকে। বাড়িটির উপর ‘বাংলাদেশি ভাষায়’ লেখা ভারতীয় জনতা পার্টি বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল কটাক্ষ চলছে।
অমিত মালব্য বাংলা কোনো ভাষা নয় দাবি করার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। উল্লেখ্য তিনি নিজে বাংলা কবিতার একজন গুণমুগ্ধ। রাজনৈতিক ভাষণ ও মন্তব্যে বাংলায় লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখনী উপমা দেন।
শমীকের পথে হেঁটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন দুই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষও নীরব। বঙ্গ বিজেপি দফতর কেন বাংলাদেশি ভাষায় লেখা এই কটাক্ষে মুখ লুকোচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে বিজেপি বাঙালি বিরোধী তার প্রমাণ বাংলা কোনও ভাষা নয় মন্তব্যে।
রাজ্যের পূর্বতন শাসকদল সিপিআইএমের বিশ্লেষণ, বিজেপি চাইছে বাংলা ভাষা নয় বিতর্ক জিইয়ে রেখে নির্বাচনে দুর্নীতির ইস্যু ঢেকে তৃণমূলকে ভোট মাইলেজ দিতে। কারণ, বিজেপির রাজনৈতিক শিরদাঁড়া সংঘ পরিবারের গুডবুকে আছেন মমতা। তার শাসনেই রাজ্যে সংঘের শাখা ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়িয়েছে। আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে নির্যাতন এ রাজ্যে সংখ্যালঘুদের মনে ভয় সৃষ্টি করে তাদের ভোট তৃণমূলের দিকেই ঠেলে দেওয়ার কৌশলও নিয়েছে সংঘ।