সবজির বাজারে আগুন, উৎসবের মরসুমে মাথায় হাত আমতার

রোজই বেড়েই চলেছে সবজির দাম। বিশেষ করে ঘর্ণিঝড় দানার জেরে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, নাদিয়া এবং বর্ধমানের মতো অন্যান্য কৃষি কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক চাষের ক্ষতি হয়েছে।…

west bengal vegetable price list today

রোজই বেড়েই চলেছে সবজির দাম। বিশেষ করে ঘর্ণিঝড় দানার জেরে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা, নাদিয়া এবং বর্ধমানের মতো অন্যান্য কৃষি কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক চাষের ক্ষতি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে সবজির উপর৷ ফলে আজ কালীপুজোতেও বাজারে বেগুনের দাম (Vegetable Price) ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, এবং চিড়ের দাম ২০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ক্যাপসিকাম, সবুজ মটরশুঁটির দামও (Vegetable Price) বেড়ে গেছে, যা স্থানীয় সরবরাহের উপর প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি কলকাতায় বিন্সের দাম ইতিমধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে।

   

সম্প্রতি, ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন রাজ্যের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল হয়েছে। ট্রেনের মাধ্যমে পেঁয়াজের বিপুল বিক্রি শুরু হওয়ার পর, অন্ধ্র প্রদেশ,মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং নতুন দিল্লির প্রধান বাজারগুলোতে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল হয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দ্বিতীয় রেকে ৮৪০ টন পেঁয়াজ জাতীয় রাজধানীতে পৌঁছেছে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন করে জমিতে ফলন না হলে জোগান বাড়বে না সবজির। আর তা না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।

সরকারের এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের সময়মতো, নির্ভরযোগ্য ও খরচ সাশ্রয়ী বিতরণের জন্য প্রথমবারের মতো রেলপথে পেঁয়াজের বিপুল পরিবহণ গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি নিশ্চিত করেছে যে, দেশজুড়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ভোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

বাজারে পেঁয়াজের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার এই প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পেঁয়াজ, যা ভারতের রান্নার অপরিহার্য একটি উপাদান, তার দাম বৃদ্ধি হলে তা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। সরকার যদি এইভাবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, তবে এটি জনগণের জন্য একটি আশ্বাস বয়ে আনবে।

এছাড়াও, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের জন্যও সুবিধা হবে। তারা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের সঠিক দাম পাবেন এবং বাজারে তাদের পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না। এর ফলে কৃষি অর্থনীতি আরো মজবুত হবে এবং কৃষকদের আয়ের স্তর বাড়বে।