১৯ আগস্ট থেকে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ বৈঠক

রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগের (VC Recruitment) জট অবশেষে কাটতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে টানাপোড়েন চললেও, অবশেষে সমস্যার সমাধান খুঁজতে…

Bangladesh Issue in CU Exam: Controversy Arises Over Question

রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগের (VC Recruitment) জট অবশেষে কাটতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে টানাপোড়েন চললেও, অবশেষে সমস্যার সমাধান খুঁজতে কলকাতায় তিনদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত শহরের একটি নামী বেসরকারি হোটেলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রাজ্যের বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই বিষয়ে একটি পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্যদের নাম চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, এখনও পর্যন্ত ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এর ফলে পঠন-পাঠনে বিঘ্ন ঘটছে বলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।

   

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি নামের তালিকা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন। এই তালিকা থেকেই বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাকি ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এবার বৈঠকের মধ্য দিয়ে ওই তালিকা থেকে উপযুক্ত প্রার্থীর নাম বেছে নিয়ে রাজভবনে পাঠানো হবে। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিয়োগপত্রে চূড়ান্ত সিলমোহর দেবেন।

আগামী ১৯-২১ আগস্টের বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি, শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষকর্তারা এবং রাজ্যের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের সদস্যরাও আলোচনায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকের প্রতিটি দিনে আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আলোচনা হবে, যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

Advertisements

রাজ্যের শিক্ষা মহলের দাবি, উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রমও গতি পাবে। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই অস্থায়ী উপাচার্যের ওপর নির্ভরশীল, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়। ফলে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন সম্ভব হবে।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনা তুঙ্গে। রাজ্যের শাসকদল মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত নাম চূড়ান্ত হলে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা আসবে। অপরদিকে, বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছামতো প্রার্থী বসাতে চাইছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত সার্চ কমিটির উপস্থিতি পুরো প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ রাখবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কলকাতার তিনদিনের এই বৈঠক রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন মোড় আনতে পারে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোয়, তাহলে কয়েক বছরের উপাচার্য নিয়োগের অচলাবস্থা অবসান ঘটবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক কাঠামো ফিরে পাবে।