Hiran Chatterjee:মধ্যরাতে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে আচমকা হানা রাজ্য পুলিশের

মঙ্গলবার সন্ধেবেলা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে আচমকা হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, এক ব্যক্তির খোঁজে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা অভিযানে গিয়েছিল।…

Privilege Motion Introduced Against Hiran Chatterjee in West Bengal Assembly

মঙ্গলবার সন্ধেবেলা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে আচমকা হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, এক ব্যক্তির খোঁজে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা অভিযানে গিয়েছিল। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ পুলিশ তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুলিশ তাঁর ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিল। এই ঘটনার পরে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতৃত্ব কোলাঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘাটাল লোকসভা ভোটের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মসহায়কের বাড়িতে আচমকা পুলিশি হানায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। শুধু তাই নয়, আরও দুই বিজেপি নেতার বাড়িতেও পুলিশি হানার খবর পাওয়া গিয়েছে।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তাল বাগিচায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মসহায়ক তমঘ্নর বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। বিজেপি প্রার্থীর দাবি,কী কারণে পুলিশ আচমকা এই অভিযান করছে তা জানায়নি। এমনকী তল্লাশি করার কোনও কাগজ সঙ্গে আনেনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে হিরণকে বলতে শোনা যায়, “তদন্তের কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গী এসেছে। আমার পিএ-র বাড়িতে রাত্রি সাড়ে তিনটের সময় পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে। আর তমঘ্নর মা হার্টের রোগী। অথচ কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না।”

Advertisements

এখানেই শেষ নয়, আরও জানা গিয়েছে হিরণের আত্মসহায়ক তমোঘ্নর মায়ের দাবি, গভীর রাতে পুলিশ এসে ডাকাডাকি করতে থাকে। অসুস্থ মা দরজা খুলতে না চাওয়ায় পুলিশ দরজায় লাথি মারে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে দরজা খুলে দেন তিনি। এর পরই কোনও কারণ না দেখিয়েই বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই তাঁর বাড়িতে ছুটে যান হিরণ। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি।

এই পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে শুভেন্দু অধিকারী ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়। মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দুজনকেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সম্ভাব্য শুনানি শুক্রবার।