‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’ রক্তাক্ত মহিলা কর্মীর ছবি দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন পুলিশের

গত ৯ অগস্ট আরজি করে ঘটে গিয়েছে নৃশংস ঘটনা। প্রতিবাদে ১৪ তারিখ রাতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। ‘রাত দখল’-এর ডাকে দিয়েছিলেন মহিলারা। সঙ্গে ছিলেন প্রচুর পুরুষও।…

West Bengal police raised questions by posting pictures of why women police personnel were beaten up during meyeder rat dokhol program

গত ৯ অগস্ট আরজি করে ঘটে গিয়েছে নৃশংস ঘটনা। প্রতিবাদে ১৪ তারিখ রাতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। ‘রাত দখল’-এর ডাকে দিয়েছিলেন মহিলারা। সঙ্গে ছিলেন প্রচুর পুরুষও। জমায়েতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ। কিন্তু ওই রাতেই আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। হাসপাতাল কর্মীদের মারধর করা হয়। পাশাপাশি পুলিশদেরও নিশানা করেছিল আক্রমণকারীরা। তাতেই জখম হন বহু পুলিশ কর্মী। যা নিয়েও তোলপাড় কাণ্ড। তবে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দাবি- শুধু আরজি করেই নয়, অন্য জায়গাতেও পুলিশ কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। উর্দিধারীদের তরফে বাগুইআটির ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

মারাত্মকভাবে জখম এক মহিলা কনস্টেবলের রক্তাক্ত ছবি এ দিন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে রাজ্য পুলিশ। সেখান থেকেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

   

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষে সোশাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না? রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবীতে রাস্তা দখলের রাত। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী। যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তায়, যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ অগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে। রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় জমায়েতের মধ্য থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসে বেশ কিছু ইট, যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার মুখে। সঙ্গের ছবিটি শম্পার। ঘটনার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা, শাস্তি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করব, এসব নেহাতই পারিপার্শ্বিক তথ্য এ ক্ষেত্রে। মূল প্রশ্নটা অন্য। রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’

প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ, সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ সিপিআইএমের

আরজি কর হাসপাতালে ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে প্রচণ্ড হামলা হয়। ভাঙচুর চালিয়ে জরুরি বিভাগ লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যারা এই হামলার ঘটনায় যুক্ত তাদের চিহ্নিত করতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও দিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য। এরপরই একে একে গ্রেফতারি শুরু হয়। ধৃতের সংখ্যা এখনও ২৪ জন। এবার সোশাল মিডিয়া রক্তাক্ত মহিলা কর্মীর পাল্টা ছবি দিয়ে প্রশ্ন তুলল পুলিশ!