রূপ বদলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু! স্বাস্থ্য ভবনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা

বর্ষার প্রকোপ বাড়তেই শুরু হয়ে গেল মশাবাহিত রোগের (Dengu) উপসর্গ। জুলাই মাসের শেষেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য…

dengu

বর্ষার প্রকোপ বাড়তেই শুরু হয়ে গেল মশাবাহিত রোগের (Dengu) উপসর্গ। জুলাই মাসের শেষেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনের কপালে। ডেঙ্গু হলে যে ধরণের বাহ্যিক সমস্যা দেখা যেত, সেই সমস্যাগুলো ইদানীং দেখা যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

সেঞ্চুরি পার টমেটো, ২০০ ছুঁইছুঁই কাঁচা লঙ্কা! সবজির দামের রেকর্ডে মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা

   

বেশ কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গের রোগীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে লক্ষণ ও উপশমের নিদান দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭৬ পাতার গাইডলাইনে ছত্রে ছত্রে বিশ্লেষণ করা হয়েছে ডেঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গের কথা। যেমন জ্বর শুরু হওয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে আমচকা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর ও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে শুকনো কাশি কিন্তু সর্দি নেই। আবার জ্বরের সঙ্গে কালো পায়খানা, কালো প্রস্রাব, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন ঠোঁট, হাত-পায়ের সন্ধিস্থল ফেটে রক্ত বেরনোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার প্রভাব ফেলতে পারে মস্তিষ্কের উপর। রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে। দিনে তিনবার বা বেশি বমিও, সঙ্গে অসহ্য পেটে ব‌্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে কোনও কোনও রোগীর মধ্যে। উল্লেখ‌্য, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে সংক্রমণ ১,৬০০-র বেশি। গতবছরের তুলনায় কিছুটা কম। তাই এখন থেকেই পরামর্শ স্বাস্থ‌্যভবনের।

দুয়ারে করজোড়ে ক্ষমা চাইছেন শত্রুঘ্ন সিনহারা! মমতার রোষে আজব কান্ড মালদহতে

বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রীতম বোস কলকাতা ২৪x৭.ইনকে জানালেন, ‘ এখন থেকেই প্যানিক করার মতো কিছু হয়নি। তবে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। আগে থেকে মশাদমনের উপায়ের দিকে নজর দিতে হবে। তবে সমসময় সব সিম্পটম যে একই থাকবে এমনটা নয়।’ আবার চিকিৎসক সায়ন্বিতা মল্লিক জানালেন যে, ‘ এখন কিন্তু জ্বরের চেয়ে বেশি পেটখারাপের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে লোকে বেশি আসছে। তাই পেট খারাপ দুই তিন দিনের বেশি থাকলে সতর্ক হতে হবে।’

স্বাস্থ‌্যভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৩-৭দিনের জ্বর, সঙ্গে শরীরের কোনও অংশ থেকে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আরও বলা হয়েছে, রোগীকে পুরো বিশ্রামে থাকতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোগীর রক্তচাপ, স্বাভাবিক হার্ট রেট, প্রস্রাবের পরিমাণ নিয়মিত মাপতে হবে।