যৌন হেনস্থা মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও তদন্তকারী আধিকারিক ডিসি সেন্ট্রালের অপসারনের জন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতার বর্তমান সিপির দায়িত্বে রয়েছেন বিনীত গোয়েল ও ডিসি সেন্ট্রাল হলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ডিসি সেন্ট্রালের অধীনেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার মামলা চলছিল। এই দুই শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তাকে অপসারন করে নিজেকে ‘সুরক্ষিত’ রাখার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
এই মন্ত্রীর গাড়ির লালবাতি কেড়ে মন্ত্রিত্বে লালবাতি জ্বালাবেন মমতা?
বিগত কয়েকদিন ধরেই দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে জটিলতা বেড়েছে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয় হাওয়া। নারী নিরাপত্তার ইস্যু তুলে রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে অস্বীকার করেন নব নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্যপালের ‘কীর্তি’ নিয়ে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়।
জুলাইয়ের শুরুতেই রান্নার গ্যাসের দামে বড় ছাড়! তবুও জনতার মুখ কেন ভার?
আর তারপরেই দিল্লি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করেন রাজ্যপাল বোস। আর তারপরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছয়। ভোটের আগে রাজভবনের মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থার মামলায় জড়িয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নাম। সেই মতো হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করেন ওই অভিযোগকারিনী।
কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক ‘উত্তপ্ত’ হওয়ায় হেনস্থার ইস্যুটি ফের সামনে চলে আসে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বদলের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। তবে সংবিধান অনুযায়ী, ৩৬১ ধারায় রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু শ্লীলতাহানির বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। আবার, পুলিশ কর্তা নিয়োগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে থাকে। তাই রাজ্যেকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রের মাধ্যমেই নিজের শক্তি প্রয়োগ করতে চাইছেন রাজ্যপাল? এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল
অন্যদিকে, সোমবার বেলা তিনটের মধ্যে তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ না হলে ‘বেকায়দায়’ পড়বেন রাজ্যপাল। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। গত শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, হুঁশিয়ারি দিয়েই তিনি বলেন, “যদি আগামী সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী দুই সাংসদের শপথ গ্রহণ না হয়, তাহলে উনি দিল্লির পাঁচ তারা হোটেলে কি করেছিলেন, সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হবে।” মনে করা হচ্ছে, শাসকদলের তরফে এই ভিডিও প্রকাশের হুমকি আগামীদিনে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতকে আরও তীব্রতর করে তুলবে।