বুধবার সকাল ৬ থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ১২ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। যা রুখতে পাল্টা পদক্ষেপ করল নবান্ন। এই বনধ সমর্থনযোগ্য নয় বলে জনগণকে বাংলা সচল রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দেওয়ার পরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদালতের আদেশের কথা তুলে ধরে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহারাষ্ট্র হাই কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের কথা অনেকেই জানেন। সাধারণ ভাবে জোর করে অচলাবস্থা তৈরির বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন নির্দেশ রয়েছে। রাজ্য সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বুধবার জনজীবন সচল রাখা হবে। সবকিছু চালু থাকবে। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ, অফিস কাছারিতে অবশ্যই স্বাভাবিকভাবে আসবেন। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার তার জন্য সকল অনুকূল ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। কারও কোনও ক্ষতি হলে সরকার সেই দিকটাও দেখবে। যানবাহণ চলাচলও স্বাভাবিক রাখতে হবে।’
আন্দোলন চলুক কিন্তু রাজনীতি যেন না হয়, নবান্ন অভিযানে নজর রেখে আর্তি নির্যাতিতার পরিবারের
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার সংযোজন, ‘মঙ্গলবার রাজ্যে দফায় দফায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। ছাত্রদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর উপর যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার সুবিচার আমরা সকলেই চাই। সিবিআইয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ এবং দ্রুততম নায্য তদন্ত ও সুবিচার চাওয়ার অধিকারও আমাদের সকলেরই রয়েছে। কিন্তু জোর করে যেভাবে অচলাবস্থা তৈরি চেষ্টা হয়েছে বা হচ্ছে তা সরকার মেনে নেবে না।’
এবার মমতা-বিনীতের পলিগ্রাফ টেস্ট? তুলকামাল শহরে চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপির
আলাপনের যুক্তি, ‘ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা, পরীক্ষা প্রভৃতি রয়েছে ও চলছে। শারদ উৎসবে বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী বৃহৎ সংখ্যক মানুষের জীবিকা এতে বিপন্ন হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা বিপন্ন হচ্ছে।’
বাংলা সৌজন্য এবং সহাবস্থানের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বলে আলাপনবাবুর দাবি, ‘সোমবার রাজ্যপুলিশ সৌজন্য বজায় রেখেছে। শান্ত থেকেছে। পরবর্তীক্ষেত্রেও এই সৌজন্য বজায় থাকবে।’