শুভেন্দুকে ছাড়াই বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক, দলে কি গুরুত্ব কমছে বিরোধী দলনেতার?

লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির (Suvendu Adhikari) ভরাডুবির পর দায় এড়াতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতারা। একে অপরের ঘাড়ে দোষ ঠেলে দিচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে শনিবার…

4 BJP MLAs, Including Suvendu Adhikari, Suspended from Assembly Session for 30 Days

short-samachar

লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির (Suvendu Adhikari) ভরাডুবির পর দায় এড়াতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতারা। একে অপরের ঘাড়ে দোষ ঠেলে দিচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে শনিবার কোর কমিটির বৈঠকে বসেছিল বঙ্গ বিজেপি। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা বৈঠকে যোগ দিলেন ‘অনুপস্থিত’ ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

   

আর এনিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, তবে কি রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দুর গুরুত্ব কমছে? গতকাল ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই কোচবিহারে এসেছি। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জেনে নেব।

কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিককে পাশে নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোর কমিটির ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ জন তো বৈঠকে উপস্থিত আছে। আমরা দু’জন নেই। বৈঠকে দলের অন্যান্য নেতারা রয়েছে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমরা সকলেই পূর্ণ সমর্থন করব।

বিরাট ধাক্কা খেল তৃণমূল! নিশীথের একটা চালে ঘুম উড়েছে শাসকদলের

কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক – সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়া। বৈঠকে যোগ দেন ৫ সাধারণ সম্পাদক – জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় মাহাতো এবং দীপক বর্মন। এছাড়া ছিলেন – সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর, দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, বৈঠকে লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির ফলাফল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে আসন্ন চার বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী নিয়েও কথা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টিকে। একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে।

তিন আসনে বিরাট মার্জিনে এগিয়ে বিজেপি, উপনির্বাচন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে!

এক কথায়, কোর কমিটির বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, কোর কমিটির এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার বদলে কেনই বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দুকে কোচবিহারে যেতে বলল? লোকসভা ভোটে রাজ্যে ভরাডুবির পর কি তাহলে বঙ্গ বিজেপিকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর গুরুত্ব কমছে?

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, এবারের লোকসভা ভোটে প্রচার থেকে শুরু করে প্রার্থী নির্বাচন, সবক্ষেত্রেই শুভেন্দু অধিকারীর সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিশেষ করে, অমৃতা রায় এবং রেখা পাত্রর মতো মানুষদের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘অনুঘটক’-এর কাজ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দুকে বাদ দিয়েই হল রাজ্য বিজেপির কোর বিজেপির বৈঠক। 

উপনির্বাচনের আগেই তৃণমূলের কাছে ‘হেরে ভূত’ বিজেপি!