‘আমার গাড়ি চেক হয়, মমতার গাড়ি কেন রেহাই? বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিরাপত্তার খাতিরে গাড়ি তল্লাশির ব্যবস্থা (West Bengal Assembly) চালু হয়েছে গত ১৩ জুন থেকে। তবে এই ব্যবস্থা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার…

AgnimitraPaul

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিরাপত্তার খাতিরে গাড়ি তল্লাশির ব্যবস্থা (West Bengal Assembly) চালু হয়েছে গত ১৩ জুন থেকে। তবে এই ব্যবস্থা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রবেশদ্বারে গাড়ি তল্লাশি নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (West Bengal Assembly) 

তিনি প্রশ্ন তোলেন— “আমার গাড়ি চেক হলে মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Assembly) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি চেক হয় না কেন?” তাঁর দাবি, কেউ আইনের উর্ধ্বে হতে পারেন না। যদি একজন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি তল্লাশি হয়, তবে তৃণমূলের বিধায়ক বা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িও সমানভাবে পরীক্ষা হওয়া উচিত (West Bengal Assembly) 

   

পুলিশ কর্তব্যরত কর্মীদের জবাব দেয়, “আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি। (West Bengal Assembly) 

এর পরেই অগ্নিমিত্রা বলেন, “আমি বিশেষ সুবিধা চাইছি না। আমি চাই নিয়ম সবার জন্য সমান হোক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর গাড়িতে বিজেপির উত্তরীয় থাকায় তা সরাতে বলা হয়েছে, অথচ তৃণমূলের অনেক গাড়িতে ‘এগিয়ে বাংলা’ লেখা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও তাতে আপত্তি করা হয় না (West Bengal Assembly) 

তিনি আরও বলেন, “এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চলছে। আমাদের গাড়িতে একটু বিজেপির চিহ্ন থাকলেই ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। (West Bengal Assembly) 

Advertisements

এই বিতর্কের মাঝেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “নিরাপত্তার জন্যই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিধানসভার কাজে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সেটাই লক্ষ্য। (West Bengal Assembly) 

মূল প্রশ্ন: তল্লাশি নিরাপত্তার (West Bengal Assembly) জন্য, না কি রাজনৈতিক চাপের ফল?

বিজেপির অভিযোগ, সরকার তাদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের মতে, বিষয়টি শুধুই নিরাপত্তা কেন্দ্রিক এবং কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই (West Bengal Assembly) 

তবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে— নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি সবাইকে সমানভাবে মান্য করে? মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িও কি সমভাবে চেক হয় (West Bengal Assembly) 

এই ঘটনার মাধ্যমে আরও একবার বিধানসভার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সহাবস্থানের ভারসাম্য প্রশ্নের মুখে পড়েছে।