দু’দিনের টানা বিতর্ক ও আলোচনার পর অবশেষে পাশ হল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট (সংশোধনী) বিল (Clinical establishment amendment bill)। সরকারের দাবি, এই সংশোধনী বিলের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালের ‘অতিরিক্ত’ ও ‘অনিয়ন্ত্রিত’ বিলের ওপর লাগাম টানাই মূল লক্ষ্য। স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় এই বিল পেশ করেন এবং বিলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা দেন(Clinical establishment amendment bill)
বিজেপি বিধায়কেরা এই বিলের কিছু ধারার বিরুদ্ধে সরব হন। (Clinical establishment amendment bill)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই বিল আরও পর্যালোচনার দাবি রাখে। তিনি বলেন, “এই বিল নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বিলটি পাঠানো হলে আরও কার্যকর ও বাস্তবসম্মত আইন আসত।”(Clinical establishment amendment bill)।
তবে বিজেপি-র দেওয়া সংশোধনীগুলি বিধানসভায় গৃহীত হয়নি। বরং, দলটির বিরোধিতাও শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি।(Clinical establishment amendment bill)।
বিলে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রোগীকে ভর্তির(Clinical establishment amendment bill)। সময় যে প্যাকেজ নির্ধারিত হবে, তার বাইরে যদি অতিরিক্ত খরচ হয়, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীর পরিবারকে আগাম জানাতে হবে। অর্থাৎ, অপ্রত্যাশিত বিল দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।(Clinical establishment amendment bill)।
তবে শুভেন্দুর বক্তব্য, “এমন অনেক রোগী থাকবে যারা (Clinical establishment amendment bill)। প্যাকেজ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে পারবে না। তাদের জন্য কী ব্যবস্থা রাখা হবে, সেটা পরিষ্কার নয়। এছাড়াও, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসার বাজেট দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তা সব ক্ষেত্রে বাস্তব নয়। কারণ অনেক রিপোর্ট আসতে সময় লাগে।”(Clinical establishment amendment bill)।
এছাড়াও তিনি ই-প্রেসক্রিপশন নিয়ে গোপনীয়তার প্রসঙ্গ তোলেন, “পেশেন্টের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা হবে তো?”(Clinical establishment amendment bill)।
তৃণমূল যদিও বলছে, এই বিল জনস্বার্থে আনা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি একটি বড় জয়। তবে এই বিলের যথাযথ বাস্তবায়নই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।(Clinical establishment amendment bill)।