মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত (West Bengal Assembly) ঘটল যখন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অপারেশন সিঁদুরের(West Bengal Assembly) জন্য ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রস্তাব আনলেন। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে শুরু হয় এক তীব্র বিতর্ক, কারণ প্রস্তাবের মধ্যে ‘সিঁদুর’ শব্দটির কোনও উল্লেখ করা হয়নি, যা নিয়ে বিজেপি বিধায়কেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।(West Bengal Assembly)
ব্রাত্য বসুর বক্তব্য: অপারেশন সিঁদুর সেনার কৃতিত্ব(West Bengal Assembly)
এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।(West Bengal Assembly) তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কোনও রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় সেনার কৃতিত্ব।” তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে ব্রাত্য বসু সেনার সাহসিকতা ও বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন,(West Bengal Assembly) “অপারেশন সিঁদুর ভারতের সেনার কাছে একটি গর্বের বিষয়। এটি শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার ঐতিহাসিক অভিযান, যার মধ্যে রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের কোনও ভূমিকা নেই।”(West Bengal Assembly)
এছাড়া, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি(West Bengal Assembly) হামলায় গোয়েন্দা দফতরের ব্যর্থতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। ব্রাত্য বসুর এই বক্তব্যের পর, বিজেপি বিধায়ক (West Bengal Assembly) অসীম সরকার গান গেয়ে সেনার কৃতিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের সুরে সুর মিলিয়ে সেনার সাহসিকতা স্বীকার করেন এবং গান গেয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন(West Bengal Assembly)
বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ এবং বিতর্ক(West Bengal Assembly)
এছাড়া, বিজেপি বিধায়কদের একাংশও এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেন যে, ‘সিঁদুর’ শব্দটি প্রস্তাবে রাখা হয়নি, যা তাদের কাছে একটি গুরুতর অবমাননা হিসেবে(West Bengal Assembly) মনে হয়েছে। বিজেপি বিধায়করা অভিযোগ করেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ না করা মানে ভারতীয় সেনার কৃতিত্ব অস্বীকার করা। বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, “২০২৬ সালে এই রাজ্যে অপারেশন বেঙ্গল হবে,” যা তাঁর মতে, বিজেপির পরবর্তী বড় আন্দোলনের ইঙ্গিত।(West Bengal Assembly)
এছাড়া, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু(West Bengal Assembly) অধিকারীও ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের একাধিক অংশের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “এটা শুধু রাজনৈতিক খেলা নয়, এটা সেনার জন্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয়। সরকার যদি সেনার কৃতিত্ব স্বীকার না করে, তাহলে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”(West Bengal Assembly)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য(West Bengal Assembly)
বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ(West Bengal Assembly) থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সফলতা ভারতীয় সেনার সাহসিকতার ফল। তবে, আমি মনে করি, রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে গিয়ে আমাদের শুধু সেনার প্রশংসা করা উচিত।”(West Bengal Assembly)
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিক্রিয়া(West Bengal Assembly) আরও তীব্র হয়ে ওঠে। তারা সরকারের উদ্দেশে দাবি করেন যে, রাজ্যের বিধানসভায় সেনার কৃতিত্বকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল।
‘মিনি পাকিস্তান’ বিতর্ক এবং পরবর্তী মন্তব্য(West Bengal Assembly)
বিজেপি বিধায়কদের একাংশ, বিশেষ করে(West Bengal Assembly) মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, এক পর্যায়ে দাবি করেন যে, “এ রাজ্যেও(West Bengal Assembly) কোথাও কোথাও ‘মিনি পাকিস্তান’ হয়ে রয়েছে।” তাঁর এই বক্তব্যে আরও বাড়তি(West Bengal Assembly) উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, “রাজনীতির খেলা চলছে। এই ঘটনা থেকে কোনও রাজনৈতিক দল কৃতিত্ব নিতে চাইছে, ভারতীয় সেনার কৃতিত্ব ছিনতাই না করে, আমাদের উচিত তাদের সম্মান জানানো।”(West Bengal Assembly)
প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দের অনুপস্থিতি: বিজেপির ক্ষোভ(West Bengal Assembly)
এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’(West Bengal Assembly) শব্দটি না থাকা। বিজেপি বিধায়কেরা দাবি করেন যে, যদি ‘সিঁদুর’ শব্দটি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তবে এটি ভারতীয় সেনার প্রতি আরও বড় ধরনের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হতো। তারা বলেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে সরকারের অঙ্গীকার প্রকাশ পায় না, এবং এটি সেনার প্রতি অজ্ঞতার ইঙ্গিত দেয়।