নিউজ ডেস্ক, কলকাতা : বৃহস্পতিবার সকালেও শহর ও শহরতলির আকাশ আংশিক মেঘলা। তবে কলকাতায় বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে খবর। বুধবার রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার সকালেও শহর কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে। তবে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকে এই আবহাওয়ার (Weather) বদল ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, জাওয়াদের ছেড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্পের প্রভাবে শীত বিঘ্নিত হচ্ছে। যদিও বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা একটু একটু করে কমবে। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে কলকাতায় শীতের আমেজ ফিরে আসবে। শুক্র, শনি এবং রবিবারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আর বাড়বে না। কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। এই মুহূর্তে কোনোরকম নিম্নচাপের ভ্রুকুটি নেই। বঙ্গোপসাগর লাগোয়া অঞ্চলের বাতাস সম্পূর্ণ পরিষ্কার বলে জানিয়েছে উপগ্রহ চিত্র। দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা না নামলেও উত্তরবঙ্গে নেমেছে। উত্তরবঙ্গের আকাশ সম্পূর্ণ মেঘমুক্ত। ফলে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।
আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে মূলত পরিষ্কার আকাশ। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় সকালের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ ও পরে পরিষ্কার আকাশ থাকবে। আগামী ৩ দিনে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। শুক্রবারের পর স্বাভাবিকের নীচে নামবে কলকাতার তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ। পুবালি হাওয়ার প্রভাব কমবে বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বাকি জেলায় শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। শুষ্ক আবহাওয়া উত্তরবঙ্গেও।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার তারতম্যে জলীয়বাষ্প থাকায় কুয়াশা হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি। শুক্রবার আরো একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর পশ্চিম ভারতে। এর প্রভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে। হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ড লাদাখ জম্মু-কাশ্মীর এ তুষারপাতের সম্ভাবনা। হালকা বৃষ্টি ঘন কুয়াশা হতে পারে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে। দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি চলবে। আগামী কয়েকদিন কেরল, তামিলনাড়ু, করাইকাল, পন্ডিচেরিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু আরব সাগরের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।