কবে থেকে মিলবে জাঁকিয়ে শীতের দেখা, জানাল হাওয়া অফিস

রাজস্থানে শীতের প্রকোপ (weather update) ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এখন দিনের বেলায় সূর্যের কিরণও তেমন তাপ দিচ্ছে না, এবং বাতাসে আর্দ্রতার (weather update)…

"Weather Update: Temperature Drops on Friday, Weather to Change from Sunday"

short-samachar

রাজস্থানে শীতের প্রকোপ (weather update) ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এখন দিনের বেলায় সূর্যের কিরণও তেমন তাপ দিচ্ছে না, এবং বাতাসে আর্দ্রতার (weather update) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতিও বেড়ে চলেছে। বিশেষত সকাল এবং সন্ধ্যায় বেশ কয়েকটি শহরে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়াও, ঘন কুয়াশার চাদর (weather update) রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে রাস্তা এবং চলাচলে অসুবিধা দেখা দিচ্ছে।

   

মৌসম বিভাগের (weather update)  তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাজস্থানে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘন কুয়াশা (weather update)  রাজ্যের বিশেষ কিছু এলাকায়, বিশেষ করে বিকানের, গঙ্গানগর, হানুমানগড় এবং চুরু জেলার ওপর ছড়িয়ে পড়বে বলে জানানো হয়েছে। এ সময়ে যানবাহনের চালকরা রাস্তা পরিষ্কারভাবে দেখতে না পাওয়ার কারণে হেডলাইটের সাহায্যে খুব ধীরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিকানের, গঙ্গানগর এবং হানুমানগড়ে অতি ঘন কুয়াশা রেকর্ড করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন শহরে হালকা কুয়াশাও সকাল ও সন্ধ্যায় পরিবেশে ছড়িয়ে থাকছে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকার কারণে যানবাহনের গতি কমে গেছে এবং রাস্তায় চলাচলরত লোকজন সমস্যায় পড়ছেন।

মৌসম বিভাগ, জয়পুর জানিয়েছে যে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে এবং মানুষ ঠান্ডায় কাঁপতে বাধ্য হবে। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি ঘন এবং অতি ঘন কুয়াশার কারণে ভ্রমণে বিশেষ করে রাতের দিকে মানুষজনের সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিকানের, গঙ্গানগর, হানুমানগড় এবং চুরু জেলা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সকাল এবং সন্ধ্যায় কুয়াশার ঘনত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণে যানবাহনগুলির গতি কমিয়ে দিতে হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বেশ প্রভাব ফেলছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং অফিসগামী ব্যক্তিদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কুয়াশা সাধারণত শীতের সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা এবং নিম্ন তাপমাত্রার কারণে ঘটে। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কুয়াশা অনেক বেশি ঘন হয়, যার ফলে ফসলের উপরেও প্রভাব পড়তে পারে। কৃষকদের জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কুয়াশা কখনো কখনো ফসলের ক্ষতি করতে পারে।

রাজস্থানে এমন শীতকালীন পরিস্থিতি প্রতি বছর দেখা গেলেও, এ বছরের মতো তীব্র ঠান্ডা এবং কুয়াশার তীব্রতা সাধারণত কমই দেখা যায়। অনেক মানুষ আগুন জ্বালিয়ে, গরম পোশাক পরে নিজেদের উষ্ণ রাখতে চেষ্টা করছেন। তবে, হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে।

মৌসম বিভাগ সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষত যারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাদের জন্য কুয়াশা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যানবাহন চালকদের জন্য সঠিক নির্দেশিকা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কুয়াশার কারণে কম দৃশ্যমানতার জন্য হেডলাইট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাজস্থানের এই শীত এবং কুয়াশা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেললেও, এটি শীতকালীন আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক চিত্র। তবে, শীতের তীব্রতা মোকাবিলার জন্য মানুষকে সজাগ থাকতে হবে এবং মৌসম বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।