নিম্নচাপের কামড়ে বুধে ভাসবে ৫ জেলা, হলুদ সতর্কতা জারি

সকাল সকাল রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলেছে বুধবার। তবে দাঁড়ান, এখনই খুশি হওয়ার কিছু হয়নি কিন্তু। ফের একবার বদলে যাবে আবহাওয়া (Weather Update)। আর কিছুক্ষণের…

সকাল সকাল রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলেছে বুধবার। তবে দাঁড়ান, এখনই খুশি হওয়ার কিছু হয়নি কিন্তু। ফের একবার বদলে যাবে আবহাওয়া (Weather Update)। আর কিছুক্ষণের মধ্যে আবার কলকাতা শহর সহ বাংলার একাধিক জেলার আকাশ কালো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ঝমঝমিয়ে নামবে বৃষ্টি (Rainfall)। হাওয়া অফিসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলারজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি নামতে চলেছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি আবার ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হয়েছে। যার ফলে এবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। বুলেটিন অনুযায়ী, আজ ২৮ ও আগামীকাল ২৯ আগস্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কলকাতা, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হবে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়া।

   

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। উত্তাল থাকবে সমুদ্রও। এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টি কাঁপাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকেও। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি এবং বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ আগামী কয়েকদিন উত্তরের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে মালদা, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বর্ষার মরসুম অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস, যা মানুষের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সমুদ্রের দিক থেকেও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এতে স্কুল, কলেজ ও অফিসে যাওয়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।