দক্ষিণের আবহাওয়ায় পুজো-পুজো গন্ধ, উত্তরে বাড়ছে বিপদ!

রবিবার অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর (Weather Report) সকাল থেকেই মেঘ সরিয়ে আকাশে দেখা দিয়েছে সুয্যি মামা। মিষ্টি রোদের আভা জানান দিচ্ছে যে মা আসছে। আকাশে ভেসে…

weather rains

short-samachar

রবিবার অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর (Weather Report) সকাল থেকেই মেঘ সরিয়ে আকাশে দেখা দিয়েছে সুয্যি মামা। মিষ্টি রোদের আভা জানান দিচ্ছে যে মা আসছে। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘের ভেলা। আজ ঘুম ভাঙতেই ঝকঝকে নীল আকাশ দেখে পুজো-পুজো মোড অন হয়ে গেছে বাঙালির মনে। তবে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই মনোরম আবহাওয়া আর বেশিদিন থাকবে না। আবার ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরের বুকে আরও ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ।

   

আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৭৫% । ভোর ৫.২৭ মিনিটে আজ সূর্যোদয় হয়েছে। সূর্য অস্ত যাবার সময় ৫.২৬ মিনিট। আজ শহরে হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে। তবে চড়া রোদের তাপ না থাকলেও, দিনের বেশিরভাগ সময় ঝকঝকে থাকবে আকাশ।

কিন্তু দক্ষিণের আবহাওয়ায় উৎসবের মেজাজ থাকলেও, উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কিন্তু একেবারেই বিপরীত। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সম্প্রতি ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস নেমেছে, যা সড়ক যোগাযোগকে কঠোরভাবে বিপর্যস্ত করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিশেষ করে এই সপ্তাহে পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যা ভূমি ধস এবং অন্যান্য বিপদের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, শনিবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত বৃষ্টিপাত হবে, ফলে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের উচিত জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এবং সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। জনগণকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

আশা করা যায়, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে। সবাইকে নিরাপদে থাকার এবং কোনও ধরনের বিপদ দেখা দিলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে, যা নিরাপত্তার জন্য গুরুতর বিপদের সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় আবহবিদরা সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।