ক্রমশই নিম্নগামী পারদ। চলতি মরশুমের আপাতত সবচেয়ে শীতলতম দিন অনুভব করল রাজ্যবাসী। এক ধাক্কায় নেমে গেল ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মত অনেকটাই নামলো তাপমাত্রা। নভেম্বর পড়লেও বেশ কিছুদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হটতেই ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে গিয়ে একেবারে তাপমাত্রা নামলেও ১৭ ডিগ্রির কোটায়। পারদ কমতেই শীতের আমেজে গা ভাসিয়েছে রাজ্যবাসী, কানায় কানায় অনুভব করছে শীতের আবহাওয়া(weather forecast)।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যেমন নেমেছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোটায় সেরকমই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমেছে। রবিবার সকালে যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেখানে সোমবার সকালে তাপমাত্রা নামলো ১৭.৫ ডিগ্রিতে যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.৭ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোন পূর্বাভাস নেই। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকছে সর্বাধিক ৯৫% এবং সর্বনিম্ন ৩৫ শতাংশ। কলকাতা শহরসহ আশেপাশে জেলাগুলিতে ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা পরিলক্ষিত হবে। বেলা বেলা সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদ ঝলমলে আকাশেরও দেখা মিলবে।
রাজ্যবাসী দশকের শীতলতম অক্টোবর অনুভব করেছে এই বছরেই। হেমন্ত পড়তে না পড়তে হিমেল পরশ মিলতে শুরু করে। তাপমাত্রা যে হেরফের বা শীতের যে আমেজ অনুভূত হচ্ছিল তাতে মনে করা হচ্ছিল দুয়ারে শীত এসে উপস্থিত। তবে ঠিক কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে তা স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। তবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পার উৎপত্তন হওয়ার একটা সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। পূর্বাভাস অনুযায়ী এক ধাক্কায় অনেকটাই পারা পতন কলকাতা শহর-সহ তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে। সুতরাং বলা যেতেই পারে চলতি মরশুমে জাঁকিয়ে শীত পড়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।