কলকাতা: মাধ্যমিক (Madhyamik 2026 ) পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় আপডেট। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) জানিয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন যাচাই পোর্টাল। এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজের রেজিস্ট্রেশনের সময় জমা দেওয়া তথ্য যাচাই করার সুযোগ পাবেন। কোনও ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়লে, তা সংশোধনের জন্য অনলাইন আবেদনও করা যাবে।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ পোর্টালটি— https://students.wbbsedata.com
— খোলা থাকবে ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই সকল পরীক্ষার্থীকে নিজের রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করতে হবে।
মাধ্যমিক প্রত্যেক পড়ুয়ার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। নবম শ্রেণি থেকেই রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা নিজের নাম, জন্মতারিখ, অভিভাবকের নাম ইত্যাদি তথ্য স্কুলের মাধ্যমে জমা দেয় এবং পরে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে। এতদিন পর্যন্ত একবার তথ্য জমা হয়ে গেলে আর সংশোধনের সুযোগ থাকত না। এর ফলে অনেক সময় পরীক্ষার ঠিক আগে গিয়ে সমস্যা তৈরি হতো।
গত বছরই উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মাধ্যমিক শুরু হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে আদালতের নির্দেশে ১১৫টি স্কুলকে জরিমানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সংশোধন করতে হয়েছিল। ২০২৫ সালের রেজিস্ট্রেশনে যদিও পর্ষদ পাঁচবার সংশোধনের সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু ২০২৬ সালের জন্য কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ পর্ষদ।
নতুন পোর্টালের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা নিজের তথ্য যাচাই করতে পারবে। যদি কোনও ভুল ধরা পড়ে, তবে অনলাইনে সরাসরি সংশোধনের আবেদন জমা দিতে হবে। সেই আবেদন সরাসরি স্কুলের ড্যাশবোর্ডে পৌঁছে যাবে। স্কুল সঠিক প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ফি সহ পর্ষদের কাছে জমা দেবে। পর্ষদ যাচাই করে সংশোধন করবে।
এই নতুন ব্যবস্থার ফলে পরীক্ষার্থীরা আর শেষ মুহূর্তে সমস্যায় পড়বেন না। স্কুলগুলিও অযথা জরিমানা বা জটিল প্রক্রিয়ার শিকার হবে না। ফলে, শিক্ষা জগতে এই পদক্ষেপকে কার্যত “স্বস্তির খবর” বলেই দেখা হচ্ছে। এক স্কুলশিক্ষকের মন্তব্য— “প্রতিবছরই রেজিস্ট্রেশনের ভুল সংশোধনে শেষ মুহূর্তে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এ বার পোর্টাল চালু হওয়ায় সময়মতো সবকিছু মিটে যাবে।”
পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে এবং স্কুলের ঝামেলা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ বার থেকে আর কোনও সমস্যা হবে না।” ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন যাচাই পোর্টাল চালু হওয়ায় ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষক— সকলেই স্বস্তি পেলেন।