সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ বণ্টনে দ্রুত পদক্ষেপে নেমেছে রাজ্য, প্রস্তুতি শুরু নবান্নের

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) (DA)  মেটাতে অবশেষে প্রস্তুতির পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায় অনুযায়ী বকেয়া…

West Bengal Not Prepared for EC's Special Voter List Revision, Chief Secretary Tells in Letter: Sources

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) (DA)  মেটাতে অবশেষে প্রস্তুতির পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায় অনুযায়ী বকেয়া ডিএ-র (DA)  অন্তত ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে। সেই অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ ও প্রশাসনিক প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।(DA)  

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট (DA)  নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ডিএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে এবং ছ’ সপ্তাহের মধ্যে অন্তত(DA)  ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। এই নির্দেশকে সামনে রেখেই প্রশাসন এখন দ্রুততার(DA)  সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করছে। মূলত (DA)  কতজন কর্মী ও পেনশনভোগী বকেয়া ডিএ পাবেন, তাঁরা কী পরিমাণ অর্থ পাবেন, এবং কোন সময়কাল থেকে তা প্রযোজ্য হবে—এই সমস্ত তথ্য একত্র করার কাজ শুরু হয়েছে।

   

বর্তমানে রাজ্য সরকারি(DA)  কর্মীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ, স্কুল শিক্ষক রয়েছেন প্রায় চার লক্ষের কাছাকাছি। এর সঙ্গে রয়েছে পুরসভা, পঞ্চায়েত, স্বশাসিত সংস্থা ও সরকার(DA)  পোষিত অন্যান্য দপ্তরের প্রায় এক লক্ষ কর্মী। সব মিলিয়ে প্রায় আট লক্ষ কর্মী এই বকেয়ার আওতায় পড়ছেন। এর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত(DA)  কর্মীদের সংখ্যা ধরলে মোট উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ।

এই বিশাল সংখ্যক কর্মী ও পেনশনভোগীর বকেয়া ডিএ মেটাতে (DA)  সুসংবদ্ধ প্রশাসনিক পরিকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। সূত্রের খবর, নবান্ন ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে (DA)  কর্মীদের চাকরির তথ্য, পদোন্নতি, নিযুক্তির সময়কাল, পে স্কেল ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি(DA)  প্রস্তুত রাখতে। বিশেষ করে ২০০৮ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা বেতন পেয়েছেন কিংবা এখনও চাকরিতে(DA)  রয়েছেন, তাঁরাই এই বকেয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এই সময়কাল ‘রোপা ২০০৯’ (Revised Pay and Allowance Rules, 2009)-এর আওতায় পড়ে, যা ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল। তাই ২০১৯ সালের পর যাঁরা(DA)  চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা এই ডিএ-র জন্য যোগ্য হবেন না। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ১৪১ মাসের বকেয়া ডিএ(DA)  পুরোপুরি মেটাতে গেলে প্রয়োজন প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তীকালীন রায় অনুযায়ী ২৫ শতাংশ (DA)  দিলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

Advertisements

২০১৯ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, ডিএ নির্ধারণের জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে। কারণ, কর্মীদের (DA)  বেতন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে হলেও, পেনশনভোগীদের অর্থ যায় ট্রেজারি বা ব্যাঙ্ক মারফত। তাই নিখুঁত হিসাব কষতে পৃথকভাবে তথ্য সংগ্রহ জরুরি।

অন্তর্বর্তীকালীন রায় হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের মতে(DA)  , রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে পারবে না। ফলে নির্দেশ মেনে প্রস্তুতি নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।(DA)  প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় মনে করছে, সময়মতো ডিএ মেটাতে হলে এখন থেকেই তথ্য ও নথিপত্র তৈরি রাখাই বাঞ্ছনীয়।

সবমিলিয়ে, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত(DA)  রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রশাসনিক স্তরে কাজ শুরু হওয়ায় তাঁরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। এখন দেখার, সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মান্য করে কতটা কার্যকরভাবে (DA)  বকেয়া ডিএ মেটাতে সক্ষম হয় রাজ্য সরকার।