কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: যত কান্ড সোশ্যাল মিডিয়াতেই (Nepal Video)। এই সোশ্যাল মিডিয়ার ফাঁদে পরেই আজ দেশ ছাড়া নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং বামফ্রন্টের দলবদলু নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও এবার পড়েছেন এই সোশ্যাল মিডিয়ার ফাঁদে। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে তার নিচের ক্যাপশনে লিখেছেন বিজেপি বিরোধী ছাএ আন্দোলন।
মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। গুজরাটে আন্দোলন কারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হামলা ভাংচুর। ভিডিওতে সত্যি ভাঙচুর এবং ছাত্র আন্দোলন দেখা যাচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা কেউই ভারতীয় নন। এই ভুয়ো ভিডিও ঘিরেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক। এই ভিডিওর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ বলেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মত এমন বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ এই ধরণের ভুল করেন।
আবার অনেকে বলেছেন বিকাশের এই পোস্ট তিনি জেনে বুঝে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই করেছেন। প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সিংহ ভাগ মানুষই এই ভুয়ো ভিডিওর নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মধ্যে বামপন্থী রোগ ঢুকে গেছে। বামপন্থী মনোভাবের ফলশ্রুতিতে যেকোনো উপায়ে হোক না তা ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রতিবাদ করতেই হবে এমন ও বলেছেন অনেকে।
তবে অনেকেই এই ভিডিওতে দেখানো নেপালের ছাত্র আন্দোলনের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং তার দলের এই আন্দোলন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। কিভাবে একটি দেশের যুব সমাজ দুর্নীতি, নেপোটিজম এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বামপন্থী সরকারকে বিতাড়িত করেছে।
বামেদের লজ্জা হওয়া উচিত গুজরাটের ছাত্র আন্দোলন বলে নেপালের আন্দোলন দেখিয়ে নিজেরাই নিজেদের মুখ পড়াচ্ছেন বলেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। তবে অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে বিকাশের মত একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ এবং দুঁদে আইনজীবী কি করে এই ধরণের ভুল করতে পারেন বা তাকে প্রশ্রয় দিতে পারেন।
Nepal Interim PM: “ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি! ছয় মাসের বেশি…”
এর আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভিডিও নিয়ে কটাক্ষ করা বামেরা কি এই ভিডিও সম্পর্কে কিছু বলবে নাকি তারা নির্বাচনে যেমন নীরবে হার মেনে সরে দাঁড়ায় এক্ষত্রেও ঠিক সেরকম ই হবে।