বিজয়াদশমীতে RSS-র শতবর্ষপূর্তি, শুভেচ্ছা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

আজকের এই শুভ বিজয়াদশমী উপলক্ষে আমরা এক ঐতিহাসিক মাইলফলক উদযাপন করছি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) আজ তার শতবর্ষ পূর্ণ করল, এবং এক শতাব্দী ধরে ভারত…

"Vijayadashami Celebration: RSS Marks a Historic Milestone in Its Glorious Journey"

আজকের এই শুভ বিজয়াদশমী উপলক্ষে আমরা এক ঐতিহাসিক মাইলফলক উদযাপন করছি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) আজ তার শতবর্ষ পূর্ণ করল, এবং এক শতাব্দী ধরে ভারত মাতার সেবায় অক্লান্তভাবে কাজ করার পর আজ এটি তার ১০১তম বছরে পা রাখতে চলেছে। শুভেচ্ছা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । আরএসএস তার এই নোবেল যাত্রায় যে মূলনীতি নিয়ে এগিয়েছে, তা হল দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, এবং আত্মত্যাগ—যেগুলি সংঘের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই সংগঠিতভাবে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisements

প্রথমে যা একটি ছোট উদ্যোগ হিসেবে শুরু হয়েছিল, তা আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় সমাজের প্রতিটি স্তরে বিশেষ অবদান রেখেছে। বিশেষত দেশজুড়ে সশস্ত্র সংঘটিত কর্মী বাহিনী তৈরি করার মাধ্যমে আরএসএস দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। গত একশো বছরে, সংঘের অবদান শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং সমাজের নানান ক্ষেত্রে যেমন দুর্যোগ মোকাবিলা, শিশুদের শিক্ষা, এবং যুব শক্তির উন্নয়নেও তা লক্ষ্যণীয়।

   

আরএসএসের স্বরাজ্য ও আত্মনির্ভরতার প্রতি অঙ্গীকার আজকের দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যেখানে ভারতকে বিশ্বশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষত সঙ্ঘের মাধ্যমে, আজকের তরুণ সমাজ এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে শুরু করেছে, যে দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে আত্মনির্ভর, শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আরএসএস শুধুমাত্র সংগঠিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মাধ্যমে নয়, বরং প্রতিটি পরিস্থিতিতে একযোগীভাবে কাজ করে আসছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়, সংঘ সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ এবং উদ্ধার কাজ করে আসছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া, সামাজিক সমতা, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো উদ্যোগও সংঘ নিয়মিতভাবে পালন করছে।

আরএসএসের পথপ্রদর্শক ডঃ মোহন ভাগবত তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বে সংঘকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তার দিকনির্দেশনায় সংঘ এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। ভাগবতজি ভারতকে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল করার জন্য প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে সংঘের উন্নতি ও কর্মকাণ্ড আরও সুসংহত হয়েছে। তিনি যে এক দেশপ্রেমী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভাগবতজি বারবার বলেছিলেন, “স্বদেশী হতে হবে শুধু নিজের দেশেই নয়, নিজেদের সমাজ, সংস্কৃতি এবং আত্মবিশ্বাসে। আমাদের সমাজ, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের পরিচয় কখনো পরিত্যাগ করা যাবে না।” তার এই কথা গুলি সংঘের প্রতি সদস্যদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, এবং আজও সেই নির্দেশে তারা কাজ করছে।

আজ আরএসএস তার শতবর্ষ পূর্ণ করেছে, তবে তার কাজ এখানে থেমে যাবে না। বরং, এই শতবর্ষে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা এবং গর্ব নিয়ে সংঘ আরও বৃহত্তর, আরও শক্তিশালী এক ভারতের গঠন করতে চলেছে।

আরএসএসের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারতকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে তোলা, যেখানে প্রতি মানুষ, প্রতিটি সমাজ, এবং প্রতিটি রাজ্য একসঙ্গে সহযোগিতায় দেশের উন্নতির পথে এগিয়ে চলবে। সংঘের ১০১তম বছরে পদার্পণের এই মুহূর্তে, আমরা সেই ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে প্রস্তুত, যা আমাদের মহান দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।