মঙ্গলবার হঠাৎ করে কলকাতার বাজারে কমে গেল শীতের এই সমস্ত সবজির দাম!

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম (vegetable price) বাড়ার কারণে গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষত, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, বিশেষত শাকসবজি ও ফলমূলের দাম (vegetable price)…

vegetable price in west bengal

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পণ্যের দাম (vegetable price) বাড়ার কারণে গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষত, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, বিশেষত শাকসবজি ও ফলমূলের দাম (vegetable price) বেড়েছে। যদিও এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যহীনতা, বৃষ্টিপাত এবং পরিবহন সমস্যাও অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কিছু প্রধান সবজির দাম (vegetable price) কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের উপর কী প্রভাব পড়ছে।

১. পেঁয়াজ (Onion)

   

পেঁয়াজের দাম (vegetable price) আজকাল কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বড় পেঁয়াজের বর্তমান দাম ৪৪ থেকে ৪৮ কেজি, যা আগের তুলনায় বেশী। ছোট পেঁয়াজের দাম ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে। সাধারণত পেঁয়াজের দাম(vegetable price)  পরিবর্তিত হয় মৌসুম অনুযায়ী, তবে এখনকার পরিস্থিতিতে অনেক গ্রাহক পেঁয়াজের উচ্চ মূল্য নিয়ে চিন্তিত।

২. টমেটো (Tomato)

টমেটোর দামও বেড়েছে। বর্তমানে টমেটোর দাম (vegetable price)  ২৩ টাকা থেকে ২৫ কেজি। বাজারে টমেটোর দাম(vegetable price) একসময় ২০ ছিল, কিন্তু এখন তার দাম আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অঞ্চলেই টমেটো ২৪ থেকে ৩৩ কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

৩. সবুজ লঙ্কা (Green Chilli)

সবুজ লঙ্কার দাম (vegetable price) এক্ষেত্রে ৫০ টাকা থেকে ৫৮ কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর দাম(vegetable price)  প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সুস্বাদু রান্নায় লঙ্কার প্রয়োজন, কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের রান্নায় এর ব্যবহার কমে গেছে।

৪. আলু (Potato)

আলুর দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষকে চিন্তিত করেছে। বর্তমানে আলুর দাম ৩৮টাকা থেকে ৪২ টাকা কেজি। এর আগে দাম ছিল ৩৩ কেজি, অর্থাৎ দাম প্রায় ১০ টাকা বাড়ে। যদিও আলু আমাদের খাদ্য তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে বর্তমান দাম নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট।

৫. গাজর (Carrot)

গাজরের দামও বেড়েছে। বর্তমানে গাজরের দাম ৪৭ টাকা থেকে ৫২ কেজি, যা কিছুদিন আগেও ৪১ ছিল। এর দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণত সালাদ বা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারে গাজরের ব্যবহার কিছুটা কমেছে।

৬. কপি(Cabbage)

কপির দামও একটু বাড়ছে। এখন কপির দাম ২৯ টাকা থেকে ৩২ কেজি। একসময় কপির দাম ছিল ২৫ কেজি, কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

৭. মিষ্টি কুমড়ো (Pumpkin)

মিষ্টি কুমড়োর দামও সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। এখন তার দাম ২৬ টাকা থেকে ২৯ কেজি। কিছু অঞ্চলেও এটি ২৮ টাকা থেকে ৩৮ কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ো সাধারণত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর, কিন্তু এর দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এটি কিছুটা অপ্রাপ্য হয়ে পড়েছে।

৮. মাশরুম (Mushroom)

মাশরুমের দাম বর্তমানে ১০৬ টাকা থেকে ১১৭ কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা পূর্বে ৯২ টাকা কেজি ছিল। মাশরুম একটি জনপ্রিয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, কিন্তু এখন তার দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় অনেকেই এড়িয়ে চলছেন।

৯. আমলা (Amla)

আমলার দাম বর্তমানে ৮৬ থেকে ৯৫ কেজি। আগে এর দাম ছিল ৭৫ কেজি, কিন্তু এখন তার দাম বেড়েছে। তবে আমলার পুষ্টি উপকারিতা অনেক, তাই গ্রাহকরা কিছুটা বেশি দাম দিয়ে হলেও এটি কিনছেন।

১০. বাঁধাকপি (Cauliflower)

বাঁধাকপির দামও কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাঁধাকপির দাম ৩২ টাকা থেকে ৩৬ কেজি। কিছু অঞ্চলে এটি ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

১১. কাঁচামরিচ (Chili)

কাঁচামরিচের দাম বর্তমানে ৫৮ টাকা থেকে ৬৪ কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। রান্নায় কাঁচামরিচের গুরুত্ব অনেক, তাই দাম বাড়লেও সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয়।

১২. ধনে পাতা (Coriander Leaves)

ধনে পাতা বর্তমানে ৭টাকা থেকে ৮  টাকাকেজি বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৬ টাকা কেজি ছিল। এর দাম খুব বেশি না হলেও, বাজারে এটি নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।

১৩. আদা (Ginger)

আদার দাম বর্তমানে ৬৯ টাকা থেকে ৭৬ টাকা কেজি। এটি আগে ৬০টাকা কেজি ছিল। এখন আদার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গ্রাহকদের খাদ্যতালিকায় এটি কিছুটা কম ব্যবহৃত হচ্ছে।

১৪. রসুন (Garlic)

রসুনের দাম বর্তমানে ৩৮১ টাকা থেকে ৪২০ টাকা কেজি। এটি আগের তুলনায় অনেক বেশি, যেখানে এর দাম ছিল ৩৩১ টাকা কেজি। রসুনের উচ্চ মূল্য অনেকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সব মিলিয়ে, বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকট, পরিবহন সমস্যা এবং মৌসুমী পরিবর্তনগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে সরকার ও বাজার সংস্থাগুলির উচিত বাজারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া।