২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনন্দপুরের খাল থেকে উদ্ধার নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর দেহ (Anandapur Case)। স্কুটার চালানো শিখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এই প্রেমিক যুগল। মৃত যুবকের হাতে মিলেছে চাবি, স্কুটার পড়েছিল খালের পাশে। জোড়া দেহ উদ্ধারের পর বেড়েছে রহস্য। খুন নাকি খুন করে আত্মহত্যা, উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উত্তরের খোঁজে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বয়ান।
স্কুটি চালানো শিখতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান ২৩ বছরের রণিতা বৈদ্য। ঘটনার জেরে তোলপাড় হয় আনন্দপুরের চিনা মন্দির খালপাড় এলাকা। এই এলাকাতেই শেষবার দেখা গিয়েছিল ওই যুবক-যুবতীকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চলে নোনাডাঙা খালে। প্রথমে তরুণ (১৯ বছরের রোহিত আগরওয়াল) ও পরে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্যের ফলে উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনুমান, এরপর অসাবধানতাবশত দুজনে খালের জলে পড়ে স্রোতে ভেসে যান। প্রাথমিকভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন নজরে আসেনি পুলিশের। দেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ৬ মাস আগে একটি স্কুটি কেনেন ওই তরুণী। ওই এলাকাতে যুবকের সঙ্গে মাঝে মধ্যে স্কুটি চালানো শিখতে যেতেন। গত বছর পড়াশোনা শেষ করেন তিনই। এরপর থেকে বাড়িতেই থাকতেন তিনি। অপর দিকে, অনলাইন ডেলিভারির কাজ করতেন রোহিত। দীর্ঘদিন ধরেই দুজন-দুজনকে চিনত। যুগলের বন্ধুবান্ধবদের থেকে জানা গিয়েছে যে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। এই মৃত্যু কি কোনও ভাবে সেই টানাপোড়েনের ফল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।