বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে কাঞ্চন, বেলাগাম কটাক্ষ ঋত্বিক-সুদীপ্তা

যতদিন যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসে আন্দোলনে পা মেলাচ্ছেন বিভিন্ন…

Tollywood actor Sudipta and Ritwick Chakrabarty critisize tmc leader Kanchan Mullick over his controversial remarks on rg kar doctors protest

যতদিন যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসে আন্দোলনে পা মেলাচ্ছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এর মধ্যেই আরজি করে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়লেন অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যার জেরে সুদীপ্তা চক্রবর্তী থেকে শুরু করে ঋত্বিক চক্রবর্তী সকলেই তৃণমূল বিধায়ককে বেলাগাম আক্রমণ করে ‘ত্যাজ্য’ করার কথা ঘোষণা করলেন।

বিরাট ধাক্কা রাজ্যের, ছাত্রনেতা সায়নের জামিন বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

   

শাসক দলের তারকা কাঞ্চন মল্লিক রবিবার কোন্নগর শহর ও নবগ্রাম মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে ধর্নামঞ্চে যোগ দিয়ে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করার পরেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, “যে সরকারি কর্মীরা কর্মবিরতি করছেন, তাঁরা বেতন নেবেন তো? সরকার পুজোর বোনাস দিলে, নেবেন তো? যে শিল্পীরা বিচার চেয়ে আন্দোলন করছেন, তাঁরা সরকারি পুরস্কার ফেরাবেন তো?” সেইসঙ্গে যারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে কাঞ্চনের প্রশ্ন, “আসল উদ্দেশ্য কোনটি দোষীর শাস্তি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ?”

বিনীত গোয়েলের অপসারনের দাবিতে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

এর পাশাপাশি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ধর্ষকের ফাঁসিও চেয়েছেন তারকা বিধায়ক। এরপরেই তাঁর এইসব মন্তব্যকে ঘিরে দানা বাঁধে বিতর্কের। সেই আবহেই ঋত্বিক চক্রবর্তী ফেসবুকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “ঘাঁটা মল্লিক, চাটা মল্লিক, ফাটা মল্লিক, টা টা মল্লিক।” বর্তমানে অভিনেতার এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। তবে অভিনেতার এই পোস্টে নেটপাড়ার সিংহভাগের সায়ও মিলেছে। অন্যদিকে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও তাঁর ‘বন্ধু’ কাঞ্চনকে রীতিমতো তুলোধোনা করে ছেড়েছেন।

আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব হওয়া অভিনেত্রী ও কাঞ্চনের বন্ধু-সহকর্মী সুদীপ্তা চক্রবর্তী একটি পোস্টে লিখেছেন, “কাঞ্চন তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা হবে, আড্ডা হবে।” সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কর্মবিরতিতে থাকা ডাক্তাররা সরকারী চাকরি করেন বলে তাঁদের কর্মস্থলে দিনের পর দিন ধরে ঘটে যাওয়া সরকারের অন্যায় কাজ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে পারবেন না?

বড় বিপদে ‘আইসি ৮১৪’, নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট হেডকে তলব তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের 

সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে হতাশা বা উষ্মা প্রকাশ করতে গেলে একজন সরকারি চাকুরিজীবীর মাইনে নেওয়া যাবে না? বিচারের দাবিতে মিছিলে গিয়েছেন বলে তাঁদের পুজোর আগে প্রাপ্য বোনাস নিয়ে খিল্লি করে বলবেন বোনাস যে হয়, সেটা নেবেন তো, না নেবেন না?” এর পাশাপাশি আরও মন্তব্য করে কাঞ্চনকে ঠুকে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই সরকারি পুরস্কার অনুষ্ঠানগুলোয় আমার বহু বছর যাওয়া হয়ে ওঠে না। আচ্ছা, ওখানে পুরস্কার দেওয়ার আগে কি এইগুলো বলে দেওয়া হয়? মানে পুরস্কার পাওয়ার পরে কী করব, কী করব না-গুলো কী ও কয় প্রকার….? জানতে চাইছি আর কী!” অন্যদিকে বিদীপ্তা চক্রবর্তী একটি পোস্টে লিখেছেন, “ছিঃ কাঞ্চন মল্লিক ছিঃ।”