‘কোচবিহারে NRC নোটিস, বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ’, ফুঁসে উঠলেন অভিষেক

বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি করার চেষ্টা হচ্ছে! রাজ্যে (Abhishek Banerjee) পায়ের তলার মাটি নেই বুঝতে পেরে বাংলাভাষীদের টার্গেট করছে বিজেপি! এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল…

TMC's Abhishek Banerjee Protests Against NRC Notice Sent to Bengal Resident, Slams BJP for Targeting Bengali Speakers

বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি করার চেষ্টা হচ্ছে! রাজ্যে (Abhishek Banerjee) পায়ের তলার মাটি নেই বুঝতে পেরে বাংলাভাষীদের টার্গেট করছে বিজেপি! এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে এনআরসি নোটিস পাঠানোর ঘটনায় উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।(Abhishek Banerjee) 

গত জানুয়ারি মাসে অসম থেকে আসা বাংলার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে গুয়াহাটি থেকে এনআরসি নোটিস পাঠানো হয়। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, তাকে ভেরিফিকেশনের জন্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে অসমের কামরুপে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হাজিরা দিতে হবে এবং ভারতীয় হওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। উত্তমবাবু দাবি করেছেন, তারা আসলে অসম থেকে এসেছেন, তবে বংশ পরম্পরায় বাংলার বাসিন্দা। তাদের কাছে বৈধ পরিচয়পত্রও রয়েছে, তাই হঠাৎ কেন তাকে এসব প্রমাণ জমা দিতে হবে, তা নিয়ে তিনি চরম বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

   

এই ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, বিজেপি এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিরুদ্ধে এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।(Abhishek Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি জেনে যে, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, এনআরসি নোটিশ জারি করেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে বিদেশি/অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হয়রানি করা হচ্ছে।”(Abhishek Banerjee) 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়, এটি “গণতন্ত্রের উপর একটি (Abhishek Banerjee) পরিকল্পিত আক্রমণ” ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁর মতে, এটি প্রমাণ করে যে বিজেপি সরকার অসমের এনআরসি পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গে চাপিয়ে দিতে চাইছে, যদিও তাদের এখানে কোনো অধিকার বা ক্ষমতা নেই। তিনি আরও বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে।”(Abhishek Banerjee) 

এই ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী বিজেপির উদ্দেশ্যে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন। (Abhishek Banerjee) তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বিজেপি এখন বাংলাভাষী মানুষদের টার্গেট করে তাঁদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, যা গণতান্ত্রিকভাবে একেবারে অসাংবিধানিক।(Abhishek Banerjee) 

Advertisements

এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক(Abhishek Banerjee) বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে সুর চড়িয়ে বলেছেন, “বিজেপি বাংলার জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। তারা শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে।” তিনি আরও দাবি করেন যে, বিজেপি এখন বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, যেখানে তারা পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চাপিয়ে দিতে চাইছে(Abhishek Banerjee) 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই আগ্রাসনের(Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাকও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, এটি বাংলার প্রতি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির উচিত এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একসাথে প্রতিবাদ করা।”(Abhishek Banerjee) 

বিজেপির এই পদক্ষেপকে তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও “ভোটব্যাংক রাজনীতি” বলে আখ্যা দিয়েছে। তাঁদের মতে, এনআরসি প্রক্রিয়া শুধুমাত্র বাংলার রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করবে এবং বাংলার মানুষকে বিভাজিত করবে(Abhishek Banerjee) 

এই পরিস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। বাংলায় এনআরসি না হওয়ার জন্য রাজ্যের মানুষের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলছে। এখন দেখার বিষয় হবে, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।