লোকসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনীতির (TMC) ময়দানে নতুন নতুন কৌশল ও পাল্টা কৌশলের খেলা শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে উঠে আসছে এক নতুন উদ্বেগ—ভোটারদের মন বুঝতে বিভিন্ন ‘এজেন্সি’ ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহে নেমেছে বলে অভিযোগ। আর এই(TMC) ইস্যুতেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একধাপ এগিয়ে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে নিজের দলের নেতাকর্মীদের।
সম্প্রতি বাঁকুড়া থেকে পাঁচজনকে (TMC) পুলিশ গ্রেফতার করে, যাঁদের মধ্যে দুইজন মহিলা ছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা ভুয়ো পরিচয়ে মানুষের কাছ থেকে ভোট সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করছিলেন। এই ঘটনার পরই বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, এঁরা কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রেতার ছদ্মবেশে, কেউ আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—ভোটাররা কাকে ভোট দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে কাকে সমর্থন করবেন, সেই তথ্য সংগ্রহ।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ (TMC) নেতৃত্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশিকা জারি করে দলের কর্মীদের সতর্ক করেছেন। জানানো হয়েছে, সেলসম্যান(TMC) মশলা বিক্রেতা, এমনকি সমাজসেবী সংস্থার কর্মীর ছদ্মবেশে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রত্যেক নেতাকে তাঁর এলাকায় (TMC) বিশেষভাবে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
তৃণমূল সুপ্রিমো(TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সরাসরি নাম না করে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু লোক এসে নিজেদের এজেন্সি বলে পরিচয় দিচ্ছে। আসলে এরা তথ্য জোগাড় করতে চাইছে—কে কাকে ভোট দিয়েছে, এবার কাকে দেবে। এদের থেকে (TMC) সাবধান থাকতে হবে।”
আরও এক উদ্বেগের বিষয়, এই তথাকথিত এজেন্টরা(TMC) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢুকে পড়ছে বলে তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা। দলের অভ্যন্তরীন হোয়াটসঅ্যাপ(TMC) গ্রুপেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে শুধুমাত্র মাঠ পর্যায়ে নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তার দিকেও নজর দিচ্ছে দল।
তবে(TMC) বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “তৃণমূল নিজেরাই এই কাজ করে। ওদের পেশাদার টিম আছে, যারা টাকার বিনিময়ে এইসব তথ্য সংগ্রহ করে। আজ যারা ধরা পড়ছে, তারাও হয়তো ওদেরই কেউ।”
রাজনীতির এই নতুন মোড় সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন না, দরজায় কড়া নাড়ছে আসল সমাজসেবী, না কি ভোটের খবরে আগ্রহী কোন গুপ্তচর। ফলে সচেতন নাগরিকরা এখন আরও বেশি সাবধান হয়ে উঠছেন অচেনা কেউ এলে।
এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, নির্বাচনের আগে (TMC) কেবল রাজনৈতিক প্রচার নয়, তথ্যের লড়াইও এক নতুন অস্ত্র হয়ে উঠেছে। আর এই অস্ত্র কার হাতে কতটা কার্যকর, তা নির্ধারণ করবে আসন্ন নির্বাচনের চালচিত্র।