বাংলার শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতি এবং নিয়োগ বন্ধের পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে এই বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলার বেকার যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। এর প্রতিবাদে আজ, বুধবার, কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলির ছাত্র-যুবরা পথে নামছে।
আজ দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত শুরু হবে, এরপর বিকেল ৩টায় মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে শেষ হবে। মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন ছাত্র-যুব নেতৃত্বরা (TMC) এবং তারা প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখবেন। তাদের বক্তব্যের মূল বিষয় হলো, বাংলার বেকার যুবকদের চাকরি বন্ধ এবং নিয়োগ বাতিলের পেছনে রাম-বামের (TMC)ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পেছনে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই নিয়ে বলেন, “ত্রিপুরার ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি হারানোর বিষয়টি এবং বাম-বিজেপির দ্বিচারিতার বিষয়টি বাংলায় ঘটছে।” তিনি আরো বলেন, “যারা ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের পক্ষে সওয়াল করেছিল, তারা বাংলার ২৬ হাজার শিক্ষক ও কর্মীর চাকরি বাতিলের জন্য একইভাবে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।”
বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের (TMC)এই প্রতিবাদ মিছিলে ত্রিপুরার শিক্ষকদের চাকরি হারানোর বিষয়টিও ইস্যু করা হবে। তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরায় নির্বাচন আগের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বিজেপি এবং বামপন্থী দলগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। বিজেপি এবং বামপন্থী দলগুলো ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দায়ী, আর তাদের কাছে চাকরি পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রাজ্য তৃণমূল (TMC) সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) ছাত্র-যুব শাখা এই কর্মসূচি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সায়নী ঘোষ, ছাত্র সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ দলের অন্যান্য নেতারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং মিছিলের স্লোগান ও মঞ্চের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন।
এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বাম-বিজেপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কড়া স্লোগান দিবেন। তাদের মূল দাবি হলো বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি (TMC)ফিরিয়ে দেওয়া এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১১ এপ্রিল, শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত জেলা, পুরসভা, ব্লক, টাউন ও ওয়ার্ডে এই ইস্যুতে ধিক্কার মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের তরফে এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা বাংলার মানুষের জন্য এই আন্দোলন করছি। রাম-বামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে, যতদিন না বাংলার যুবক-যুবতীদের চাকরি ফিরিয়ে আনা হয়।”