তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে গো ব্যাক স্লোগান! নন্দীগ্রামে ফের উত্তেজনা

বিজেপি কর্মী খুনে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রক্ত ঝরেছে নন্দীগ্রামে। জখম হয়েছেন সাত জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার…

nandigram

বিজেপি কর্মী খুনে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রক্ত ঝরেছে নন্দীগ্রামে। জখম হয়েছেন সাত জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদিকে এরইমধ্যে এদিন বিকেলে নতুন করে উত্তেজনার ছবি দেখা গেল নন্দীগ্রামে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান গ্রামবাসীদের। বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রামে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,পার্থ ভৌমিক,তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যরা। তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনসাবাজার এলাকার লোকজন।

তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মনসাবাজার এলাকায় এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কোন কোন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাঁরা হামলা চালিয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় কী সবটাই জানার চেষ্টা করছিলেন। সূত্রের খবর, ঠিক সেই সময় মনসাবাজার লাগায়ো গ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। তখনই ফের উত্তেজনা ছড়ায়।তাঁদের দেখা মাত্রই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

   

প্রসঙ্গত বুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া এলাকায় সশস্ত্র বাইক বাহিনী হামলা চালায়। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথ অবরোধও চলে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, গত রাতের ঘটনা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদ থেকে হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জোর করে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।