রাজনীতিতে ইতি! তিনবারের বিধায়ক চিরঞ্জিত রাজনীতি ছাড়ছেন?

বারাসতের তিনবারের বিধায়ক তথা বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)  রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। রবিবার বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত…

Chiranjit Chakraborty Drops Hint About Retirement, May Not Contest 2026 Assembly Polls

বারাসতের তিনবারের বিধায়ক তথা বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)  রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। রবিবার বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তিনি আর রাজনীতির (Chiranjit Chakraborty)  মঞ্চে দীর্ঘদিন থাকতে চান না। “অনেক বয়স হয়েছে। এবার নিজের মতো বাঁচতে চাই,”— এই কথাগুলিই যেন রাজনীতির প্রতি তাঁর এক ক্লান্তির বার্তা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি ছিল ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ নামে একটি অ্যাপ উদ্বোধনের। (Chiranjit Chakraborty)  এই অ্যাপের মাধ্যমে বারাসতের নাগরিকরা সরাসরি কাউন্সিলরের সঙ্গে (Chiranjit Chakraborty)  যোগাযোগ করতে পারবেন, জানাতে পারবেন তাঁদের সমস্যা, অভিযোগ ও পরামর্শ। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও। কিন্তু পুরো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী(Chiranjit Chakraborty)  । কারণ, তিনি যা বললেন, তাতে স্পষ্ট হল যে তিনি আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী হতে চান না।

   

চিরঞ্জিত বলেন, “১৫ বছর বারাসতের মানুষের সঙ্গে ছিলাম। (Chiranjit Chakraborty)  প্রথমবার সুপারস্টার হিসেবে জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে মানুষ আমাকে যাচাই করেছে, গ্রহণ করেছে। এটা (Chiranjit Chakraborty)  আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন মনে হয়— আর নয়। এবার নিজের(Chiranjit Chakraborty)  মতো করে বাঁচতে চাই। রাজনীতি অনেকটাই সময়, ধৈর্য ও মননের দাবি রাখে। আমার (Chiranjit Chakraborty)  মনে হয়, এখন হস্তান্তরের সময় এসেছে।”

তাঁর এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে চিরঞ্জিত আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ইঙ্গিতই দিলেন। যদিও তিনি সরাসরি ‘অবসর’ শব্দটি ব্যবহার করেননি, (Chiranjit Chakraborty)  তবে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে যে বার্তা পাওয়া গেল তা যথেষ্ট স্পষ্ট।

চিরঞ্জিত আরও জানান, তিনি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তা তিনি খোলসা করেননি, তবে এটা(Chiranjit Chakraborty)  বোঝা যাচ্ছে যে বিষয়টি এখন দলীয় স্তরেও আলোচনার বিষয়।

Advertisements

তাঁর এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন(Chiranjit Chakraborty)  শুরু হয়েছে। বয়স, শারীরিক অবস্থা, রাজনৈতিক চাপ, কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে একটু প্রশান্তির খোঁজ— এই সবই হতে পারে সম্ভাব্য কারণ। অনেকেই বলছেন, চিরঞ্জিত বরাবরই একজন সংস্কৃতিবান মানুষ। অভিনয়,(Chiranjit Chakraborty)  নাটক, চিত্রনাট্য— এসবই তাঁর প্রথম প্রেম। হয়তো আবার তিনি সেদিকেই ফিরে যেতে চাইছেন।

তবে, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী রাজনীতি ছাড়লেও বারাসতের মানুষের (Chiranjit Chakraborty)  মনে তাঁর যে জায়গা রয়েছে, তা অটুট থাকবে বলেই অনেকের বিশ্বাস। জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে যেমন তিনি মন জয় করেছেন, তেমনই একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বারাসতের মানুষের মধ্যে কম নয়। তিনবারের নির্বাচনে জয়লাভই তার প্রমাণ।

এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল কংগ্রেস এই পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত নেয়। (Chiranjit Chakraborty)  চিরঞ্জিতের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে কাকে ভাবছে দল? চিরঞ্জিতের অবসরের সিদ্ধান্ত কি দলকে প্রভাবিত করবে বারাসতের রাজনৈতিক সমীকরণে?

সব মিলিয়ে বলা যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর এই সিদ্ধান্ত শুধু তাঁর ব্যক্তি(Chiranjit Chakraborty)  জীবনের নয়, রাজনীতির ক্ষেত্রেও তা এক বড় মোড়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা— তাঁর ‘নিজের মতো বাঁচা’র নতুন অধ্যায় শুরু হয় কীভাবে।