ছদ্মবেশে আর জি করের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ!

নাইট ডিউটিতে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন। আর জি করের (Kolkata Doctor’s Rape-Murder) ঘটনায় তোলপাড় দেশ। চলছে আন্দোলন। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। এরই মাঝে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর…

protests kolkata doctor's rape-murder

নাইট ডিউটিতে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন। আর জি করের (Kolkata Doctor’s Rape-Murder) ঘটনায় তোলপাড় দেশ। চলছে আন্দোলন। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। এরই মাঝে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন এক তৃণমূল সাংসদ। তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আলোচিত সেই সাংসদের নাম জহর সরকার (Jawhar Sircar)। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দলনেত্রীর কাছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে এখনও ইস্তফাপত্র পাঠাননি। তাই তিনি এখনও তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য।

   

সেই জহর সরকার রবিবার জানিয়েছেন, একমাস হতে চলেছে কলকাতা শহর একদম স্তব্ধ হয়ে গেছে। আশেপাশে সব জায়গায় সারাক্ষণ শুধু প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ। এটাকে তো আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। আমি একমাস ধরে দেখছি। আমি ছদ্মবেশে প্রতিবাদেও গিয়েছি। একটা স্বতঃস্ফূর্ত রাগ আর আক্রোশ রয়েছে৷ অভয়াকে নিয়ে নিশ্চয়ই দুঃখের কাণ্ড ঘটেছে৷ কিন্তু অভয়া ছাড়াও, উদাহরণ হিসাবে তাকে ব্যবহার করে সিস্টেমের বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ। এটাকে মেটাতে হবে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবা ভুল হবে।

TMC Rajya Sabha Member Jawhar Sircar Protests Kolkata Doctor's Rape-Murder in Disguise

আমি আগে যে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখেছি৷ উনি হলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে। উনি কিন্তু এখন অনেক সংযত ব্যবহার করছেন। উনি যদি জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে গিয়ে একবার কথা বলতেন তাহলে মিটে যেত। আমার ধারণা অবশ্য৷ আর ওই লোকটি প্রিন্সিপাল তাকে যদি প্রথম দিনেই সাসপেন্ড করে দিতেন, ওর সাথী যেগুলো আছে সেগুলোকেও। সাসপেন্ড করা মানে সরিয়ে দেওয়া৷ তারপর প্রমাণ হলে দেখা যাবে৷ কিন্তু সেই একমাস লাগল, একে ধরতে ওকে সরাতে৷ এটাতে আমার খারাপ লাগে৷

রবিবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে অনেকক্ষণ কথা হল। এটা খানিকটা ব্যক্তিগত ব্যাপার৷ উনি বলেছেন আমি শুনেছি। আমি বলেছি উনি শুনেছেন৷ আমার বক্তব্য আমি চিঠিতে ও পরে কথার মাধ্যমে বলতে পেরেছি। আমি ওনাকে বলেছি, আপনি দয়া করে নিজের হাতে গোটা বিষয়টি নিন শক্ত হাতে৷ আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারদের সাথে বসুন। আর এই রাগটি পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়৷ এই আমার কথা। সামাজিক প্রতিবাদে এটা দাঁড়িয়ে গেছে।

আগের উনি হলে সব সিচুয়েশনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন৷ ইমোশনালি ঝাঁপিয়ে যদি পড়তেন প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে তাহলে মিটে যেত। কারও একজন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একমাস হয়ে গেল। যদিও এটা অন্ত: রাজনৈতিক ব্যাপার। তবে এটা রিভিউ করা দরকার। আদালত, সিবিআই কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু কলকাতা শহর স্তব্ধ হয়ে গেছে এটা তো আর আদালত দেখতে আসবে না।

আমার নীতি আমি রেখে যাব। কিন্তু রাজনীতিতে আর নয়। অনেক ভাবনাচিন্তা করে সকলের মাঝে বলে ফেলেছি। তাই আর সিদ্ধান্ত বদল নয়।
আমি বাইরে থেকেও সাম্প্রদায়িক শক্তি, অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারব।

আমলারা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের মুখ্য সচিবের ওপর আমার কোনও আস্থা নেই। তাকে ছোটবেলা থেকে জানি। সে যে কি করে মুখ্য সচিব হল তাও বুঝিনি। বর্তমান মুখ্য সচিবের আমলা হিসাবে দারুণ সুনাম আছে। আগের জন কিসব লোক? এরা ভয়ে মরে। নাকি বলতে চায় না। অপিনিয়ন দেয় না। আমলাদের কাজ চিকিৎসকের মত। খালি হ্যাঁ হ্যাঁ করলে হবে না। যেটা খারাপ সেটা তো বলতে হবে। বুদ্ধবাবু আমার ওপর রেগে গেলেন। আমি কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। আবার ওরা রেগে গিয়েছিল আমি সেখান থেকে চলে গেলাম।

আমি দলের সাথে আগেও এই বিষয়ে কথা বলেছি৷ কথা না বলে কি কেউ Political Suicide করে।