তৃণমূলের বৈঠকে সাংগঠনিক পরিবর্তন, ২০২৬ নির্বাচনে নতুন রূপরেখা

লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রত্যাশিত ভালো ফলাফলের পরও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ‘কাঁটা’ পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়নি। ২০২৬ সালের…

TMC organizational change

লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রত্যাশিত ভালো ফলাফলের পরও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ‘কাঁটা’ পুরোপুরি সরানো সম্ভব হয়নি। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল এখন সাংগঠনিক (organizational) স্তরে বড় ধরনের পরিবর্তনের (change) পথে এগোচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো দূর করতে, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ধরনের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সোমবার, ২৫ নভেম্বর,বিকালে কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (meeting) অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিতে পারেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং জাতীয় কর্মসমিতির ২২ সদস্য। তৃণমূলের ভবিষ্যত রূপরেখা নির্ধারণে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

   

এদিকে, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও ডাক পেয়েছেন এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। যদিও তিনি জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য নন, তবুও তাঁর আমন্ত্রণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনুব্রত মণ্ডল কি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন, নাকি এটি তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধির লক্ষণ? এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলমুক্তির পর প্রথম সাক্ষাৎ হবে। যা অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তৃণমূলের এই বৈঠক ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সাংগঠনিক পরিবর্তন, নতুন নেতৃত্ব এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত হতে পারে এই বৈঠকে, যা দলের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।