ভোট দেওয়ার শাস্তিতে বন্ধ জল? আসানসোলে আজব কাণ্ড!

আসানসোলের কুলটি সহ একাধিক এলাকায় তীব্র জলসঙ্কট। গরমে জলসঙ্কট তো হতেই পারে, এতে অস্বাভাবিক কি আছে? কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, এই জলসঙ্কট অস্বাভাবিক। কারণ অভিযোগ উঠছে…

wtaer

আসানসোলের কুলটি সহ একাধিক এলাকায় তীব্র জলসঙ্কট। গরমে জলসঙ্কট তো হতেই পারে, এতে অস্বাভাবিক কি আছে? কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, এই জলসঙ্কট অস্বাভাবিক। কারণ অভিযোগ উঠছে ভোট দেওয়ার শাস্তি হিসাবে জল বন্ধ করে দিয়েছে আসানসোলের তৃণমূল পরিচালিত পুরনিগম।

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এস. এস. আলুওয়ালিয়াকে ৬০,০০০ এর বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃনমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোল পুরসভার অন্তর্গত কুলটি বিধানসভায় ২৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ টিতেই ভালো লীড পেয়েছে বিজেপি। । আর অভিযোগ, এরপরেই যেসব ওয়ার্ডে তৃণমূল হেরেছে, সেখানে জলসরবরাহ অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কুলটি বিধানসভা এলাকায় এই সঙ্কট আরও বেশী বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের একাংশ এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।

   

মন্ত্রী হয়েই সুকান্তর মাষ্টারস্ট্রোক! তাঁর নজরে বাংলার কোন দুর্নীতি, জানুন ঘটনা

যদিও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দাবী, কোনও প্রতিহিংসামূলক আচরনের বিষয় নয় এটা। সম্পূর্ণ দোষ তিনি চাপিয়েছে আসানসোলের বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের ওপর। তাঁর দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য ঠিকঠাক পাম্প না চলাতেই এই বিপত্তি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক হলেই জলের সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

যদিও জলের হাহাকারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিক্ষোভ। জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও মিলছে না সুরাহা, দাবি এলাকাবাসীদের। তাদের অনেকেরই আবার দাবি, বিদ্যুতের সমস্যা আদতে সমস্যাই নয়। দামোদরের বিস্তীর্ণ অংশে পরিকল্পনাহীনভাবে অবাধে বালি চুরির কারণে সারাবছরই জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে তাদেরকে। অবশ্য বিজেপির সমর্থক এবং অনেক এলাকাবাসীর দাবি সমস্যা বরাবরই ছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরপরই লাগামহীন জলসঙ্কট শুরু হয়েছে। যার জন্য তারা দায়ী করেছে তৃনমূলের লোকসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক খারাপ ফল হওয়াকেই। জলের অভাব এতটাই মারাত্মক যে, সংসারের কাজ ছেড়ে হাঁড়ী, বালতী নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন মহিলারা।

উপনির্বাচনে বাংলার এই বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে সিপিএম

শোনা যাচ্ছে পুরসভা এলাকায় চোখে পড়ার মতো খারাপ ফলের জন্য ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। এব্যাপারে তিনি স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে আলাদা করে ডেকেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু জলসঙ্কট যেভাবে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরসভা এলাকায়, সেব্যাপারে তিনি কি এবার হস্তক্ষেপ করবেন? সেই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে ডেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে গণবিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে বিরোধী দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না শাসক দল। এমনটাই মনে করছে আসানসোলের রাজনৈতিক মহল।