চাকরিপ্রার্থীদের ঘেরাও থেকে তৃ়ণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আপ্রাণ চেষ্টা করলেন রাজ্য সরকারকে সেফ গার্ড করতে। তিনি বলেছেন রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সহানুভূতিশীল। তার আগে তিনি শুনেছেন SLST চাকরিপ্রার্থীদের স্লোগান ‘চোর ধরো চোর ধরো’, ‘চোর ধরো জেলে ভরো’, ‘চোর চোর’ স্লোগান। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে কুণাল ঘোষ বলেছেন আমি সরকারি লোক নই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন।
শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের ধর্ণা মঞ্চ এক হাজার দিনে পড়েছে। সকাল থেকে মাথা ন্যাড়া করে চলে প্রতিবাদ। বিতর্কের মুখে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যেতেই তাঁকে লক্ষ্য চোর চোর স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে। হতচকিত কুণাল ঘোষ তড়িঘড়ি দাবি করেন রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে আছে। আমি টিভিতে দেখলাম, এক মহিলা চুল কেটে দিয়েছেন। এদের সাথে আমার পরিচয় আছে। তাই ধর্ণা মঞ্চে এলাম।
এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুনাল ঘোষ বলেন, আমি মানবিকতার খাতিরে দেখা করতে এসেছি। কোনো একটি জটিলতার জন্য তাদের চাকরি আদালতের কোনো একটা জায়গায় আটকে আছে। ভুল কেউ না কেউ করেছে। তার প্রায়শ্চিত্ত এই সরকার করবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চান এই চাকরি হোক। তিনি আরও জানান, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার বিকাল তিনটের সময় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার টাইম দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী চান এই জট খুলুক। তাঁরা চাকরিটা পান। চাকরিতে যোগ দিন। সরকারের তরফ থেকেই আইনি জট কিভাবে খোলা যায় তার চেষ্টা চলছে। এবং সেটি অনেকটা এগিয়েছে বলেও এদিন তিনি জানান। পাশাপাশি স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর যদি কেউ মনে করেন শুধু স্লোগান দিয়েই চাকরি হবে। তাহলে তারা সেটা করতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় এই জট খুলতে দুই পক্ষের এক টেবিলে বসা উচিত। তাহলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে বোঝা যাবে। চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের পয়েন্ট রাখতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ যখন ধরনা মঞ্চে ঢুকছেন তখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন বাম নেতা বিমান বসু। তখনই কুনাল ঘোষকে একেবারে বিমানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এইসময় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি ক্ষোভে ফুঁসতে ফুঁসতে বলেন, “সরকারি দলের প্রতিনিধিরা এখানে কী নাটক করতে এসেছেন? যদি হিম্মত থাকে তাহলে সরকারের কাউকে নিয়োগপত্র দিয়ে পাঠাক। আসলে একটাই কথা বলতে হবে চোর ধরো আর জেলে ভরো।”