“বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটল, কিন্তু বামেরা কেন চুপ?” দাবি দেবাংশুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি বর্তমানে উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বামেরা অভিযোগ তুলেছে, যে তাঁর গাড়ির চাকায় চাপা…

TMC Leader Debangshu Bhattacharya Criticizes CPM Over Jadavpur Incident

short-samachar

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি বর্তমানে উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বামেরা অভিযোগ তুলেছে, যে তাঁর গাড়ির চাকায় চাপা পড়ে এক ছাত্র আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় বাম নেতারা দাবি করেছেন, শিক্ষামন্ত্রীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে, কারণ তারা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে মন্ত্রীর গাড়ির কারণে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য একাধিকবার দাবি করেছেন, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রকে চাপা দেয়নি।

   

দেবাংশু ভট্টাচার্য মঙ্গলবার ফের এই বিষয়ে সরব হন এবং দাবি করেন, “একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু সেই ছবিটি কোথা থেকে এসেছে? যে ভিডিয়ো থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে, সেটা গাড়ির পিছনের দিক থেকে তোলা। সেখানে পড়ুয়া অন্য দিকে চলে যাচ্ছে, এবং ওই ভিডিয়োটি কোথায়?” তিনি আরও বলেন, “কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। এত বড় গাড়ি চলে গেলে, শুধু চোখে চোট লাগে? এটা কিভাবে সম্ভব? চোখের উপর দিয়ে টায়ার গেলে, প্রথমে নাকের হাড়, চোখের হাড় ভাঙবে। কিন্তু ইন্দ্রানুজ রায়ের তো কিছু হয়নি, তার শুধু চোখে চোট লাগল।”

এই ঘটনার জেরে, রাজ্য জুড়ে উত্তেজনা বাড়ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার উপর বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে। একদিকে বাম শিবির শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে, অন্যদিকে তৃণমূল এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে। যাদবপুরের ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির দিক থেকে বহু বিতর্ক এবং প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে, তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এই ঘটনার প্রসঙ্গে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়ে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “যে কাজ আরাবুল ইসলাম করেছিল, তা নিয়ে এত সমালোচনা হয়েছিল। আর এখন যাদবপুরে একই ঘটনা ঘটল, তবুও বামেরা চুপ। কেন?” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আরাবুল ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের রাজনীতির প্রতি আরও তীব্র সমালোচনা করেছেন।

আরাবুল ইসলামের নাম একসময় রাজ্যের ভাঙড়ের স্কুলে এক শিক্ষিকাকে জগ ছুঁড়ে মারার ঘটনায় শোনা গিয়েছিল। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে রাজ্যে অনেক শোরগোল হয়েছিল। তৃণমূল নেতা দেবাংশু এই ঘটনাকে সামনে এনে প্রশ্ন তুলছেন, কেন একই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে বামপন্থী সংগঠনরা চুপ করে থাকে?

রাজ্যে এই ধরনের রাজনৈতিক তর্ক এবং অভিযোগের পালা শুধু যে রাজনীতির ময়দানে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে, তা নয়, বরং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় প্রমাণিত হচ্ছে, রাজনীতি কখনও কখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির শান্তি এবং শিক্ষার পরিবেশকেও প্রভাবিত করে।

এখন দেখা যাচ্ছে, এই ঘটনার ফলে রাজ্যে রাজনীতির ধরন আরও সংকটপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে একে অপরকে দোষী সাব্যস্ত করার ফলে রাজ্যের রাজনীতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, এবং এর প্রভাব শীঘ্রই আরও বিস্তৃত হতে পারে।