Lokasabha election 2024:ভোটের মুখেই তৃণমূল নেতাকে পুলিশের বেদম মার, অবরোধ আমডাঙ্গায়

ভোটের মুখে ফের খবরের শিরোনামে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের আমডাঙ্গা বিধানসভা। শনিবার রাতে এক তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারার অভিযোগ উঠল আমডাঙ্গা পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার স্বাভাবিক ভাবেই…

amdanga

ভোটের মুখে ফের খবরের শিরোনামে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের আমডাঙ্গা বিধানসভা। শনিবার রাতে এক তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারার অভিযোগ উঠল আমডাঙ্গা পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা ছড়ায়। ওই তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ কর্মীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে, যদিও পড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপি একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলেরই কয়েক জনের সঙ্গে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন আমডাঙা ব্লকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ মণ্ডল। আচমকাই গোলমালের শব্দ পেয়ে দোকানের বাইরে এসে তিনি দেখেন, তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তিকে মারধর করছে পুলিশ। বাঁচাতে গেলে মোস্তাকও পড়ে যান পুলিশের নজরে। অভিযোগ, তখনই মোস্তাককে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। মারের চোটে হাত ভেঙে যায় মোস্তাকের। নেতার অনুগামীদের দাবি, সেই অবস্থায় মোস্তাককে তুলে আমডাঙা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারপরেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে আসে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং কাঁচড়াপাড়ার বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।

   

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আহত তৃণমূল নেতা মোস্তাক বলেন, ” পার্থ ভৌমিকের লোকেদের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম আর আলোচনা করছিলাম। বাইরে গোলমালের আওয়াজ শুনে পার্থ ঘনিষ্ঠ একজন দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখতে যান। তখন পুলিশ ওঁকে মারধর করতে শুরু করে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও ফেলে মারধর শুরু হয়। আমাকে গোটা শরীরে রুল দিয়ে মেরেছে। মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে।” অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এই গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও ঘণ্টাদুয়েক অবরোধ চলার পর রাত ১২টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।