Anubrata Mondal: গরম পড়তেই পেটে সমস্যা হয় কেষ্টদা’র, গ্যাসের রুগী তো…!

বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা সকাল থেকেই উদ্বেগে ছিলেন। তবে বেলা গড়াতে কেউ কেউ একটু স্বস্তির ধূপপান করলেন। খবর এসেছে কেষ্ট দা অসুস্থ। এর পর…

anubrata Mandal

বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা সকাল থেকেই উদ্বেগে ছিলেন। তবে বেলা গড়াতে কেউ কেউ একটু স্বস্তির ধূপপান করলেন। খবর এসেছে কেষ্ট দা অসুস্থ। এর পর উদ্বেগ বাড়বে কোথায় কয়েকজন তো স্বস্তিতে। একটু হাল্কা স্বরে বার্তা, দাদার (Anubrata Mandal) শরীরটা তো ভালো নেই। মোটা মানুষ। গরম পড়লেই আরও কষ্ট পান। পেটে গ্যাস জমে।

ওই কারণেই কি আচমকা হাসপাতালে? টিএমসি নেতা বললেন, হতেও পারে। এই গরমে যাতায়াতের ধকল। তারপর মানসিক চাপ রয়েছে। কয়েকদিন ঘুম হয়নি। দাদা অসুস্থই ছিলেন। তবে সিবিআই ডেকেছিল, দাদা বলেছিলেন যাবেন। কলকাতা গিয়ে অসুস্থতা হয়ে যাবেন তা কে জানত!

   

গোরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা ছিল নিজাম প্যালেসে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি সেখানে হাজিরার বদলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান।

সূত্রের খবর, আইনজীবী মারফত অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে পারবেন না বলে জানাবেন। তবে সিবিআই সেই আবেদনে সাড়া দেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। হাসপাতাল অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা কী বলবেন তার উপর বাকিটা নির্ভর করছে। এর আগে গোরু পাচার মামলায় বারবার সিবিআই জেরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পরে আদালত তার রক্ষাকবচ আবেদন খারিজ করে।

গোরু পাচার মামলায় মুখ্যমন্ত্রী তথা টিএমসি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অনুব্রতর গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। বীরভূম জেলা টিএমসি মহলের গুঞ্জন, কেষ্ট দা’র (অনুব্রত) বুক কাঁপছে। তিনি সিঁটিয়ে আছেন। তাঁর শরীর ভালো নয়, যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

গোরু পাচার মামলার সূত্র ধরে বীরভূম জেলা থেকে কয়লা ও বালি পাচার সংযোগের সূত্র খুঁজছে সিবিআই। এই কয়লা ও বালি পাচারের বখরা নিয়ে টিএমসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হয়েছে গণহত্যা। সরকারি হিসেবে ৯ জন মৃত। বেসরকারি হিসেবে ১২-১৪ জনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে খুন করা হয়। গণহত্যা এই তদন্তের সূত্র নিতে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বগটুই গ্রামে। নিহতদের পরিবারের তরফে অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।