কলকাতা: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে শক্তিশালী জনসংযোগ শুরু করতে চলেছে। পুজোর সময়কে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এবারের সম্মিলনীকে তাই রাজনৈতিকভাবে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজে এই কর্মসূচির তদারকি করছেন। ব্লক ও জেলা পর্যায়ে বক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ৫০ জনের বেশি নেতৃবৃন্দকে বক্তৃতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই তালিকার অনুমোদন সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। বিশেষ করে ডায়মন্ড হারবার ও আমতলা কেন্দ্রে বড় আকারের সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করবেন।
জেলাস্তরের সম্মিলনীগুলিতে শুধু শীর্ষ নেতা-নেত্রী নয়, বিধায়ক, যুবনেতা এবং ছাত্রনেতাদেরও বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ জেলার রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করবে এবং দলের উপস্থিতি দৃঢ় করবে।
রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে সম্মিলনী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। অর্থাৎ কালীপুজোর আগে ব্লক ও জেলা পর্যায়ের জনসংযোগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এটি ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ বাড়ানোর এবং ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধি করার অংশ।
বিজয়া সম্মিলনী শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং জনসংযোগের মূল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ব্লক ও জেলায় চিহ্নিত বক্তাদের মাধ্যমে ভোটারদের আশা-আকাঙ্ক্ষা বোঝা হবে এবং দলের পরিকল্পনা আরও শক্তিশালী হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তৃণমূলকে ভোটের আগে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকতে সাহায্য করবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই উদ্যোগ দলের ভিতরে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে এবং সাধারণ কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি করেছে।
সংক্ষেপে, কালীপুজোর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী কার্যক্রম একটি শক্তিশালী ভোট প্রস্তুতি এবং জনসংযোগের কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।