তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ, এলোপাথাড়ি গুলি, রণক্ষেত্র রাজারহাট

shootout at-malda

Rajarhat Shootout: শুক্রবার ভরদুপুরে রাজারহাটে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। প্রাথমিক ভাবে খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত এবং রাজারহাট-নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই গুলি চলেছে। জানা গিয়েছে এদিন তৃণমূলকর্মী হাজি ইসরার আহমেদকে লক্ষ্য করে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজারজাটের নারায়ণপুর এলাকা। অভিযোগ, তাপসের গোষ্ঠী সব্যসাচীর অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে।

Advertisements

এই ঘটনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে সব্যসাচী বলেন, ‘‘আমি ঘটনার কথা শুনেছি। দুষ্কৃতীদের আলাদা কোনও পরিচয় হয় না। দুষ্কৃতীরা দুষ্কৃতীই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের প্রশ্রয় দেন না।’’ অপর দিকে, তাপস বলেন, ‘‘রাজারহাট-নিউ টাউনে সকলেই আমার অনুগামী। তাঁরা কেউ দুষ্কৃতী নন। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দেখা যাক।’’

   

জানা যাচ্ছে, চার রাউন্ড গুলি চললেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন হাজি ইসরার আহমেদ। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের অনুগামী বলে পরিচিত এই আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায় লোক পাঠিয়ে গুলি চালিয়েছে।

হাজি ইসরার আহমেদ জানিয়েছেন যে ইদের দিন তিনি সব্যসাচী দত্তকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। এরপর থেকে তাপস চট্টোপাধ্য়ায় তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisements

ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, “কালই তাপস চট্টোপাধ্য়ায় আমার বাবাকে কু-কথা বলেছে। আর আজ গুণ্ডা পাঠিয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন যে আজাদ নামে এক গুণ্ডাকে পাঠিয়েছে।

সব্যসাচী বলেন, “কোন আজাদের কথা বলছে জানি না। ইসরারকে চিনি। ওঁর বাবা ৯২ বছরের এক হাজি সাহেব। ইদের দিন ঘুরতে ঘুরতে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম। ওঁর বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলা পৌঁছায় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।